পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে সরকার : ভূমিমন্ত্রী
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কীভাবে পণ্যের সরবরাহ আরও বাড়ানো যায় তা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
তিনি বলেন, টিসিবির গাড়ির পেছনে দীর্ঘ লাইন হচ্ছে, আমরা সবই দেখছি। চেষ্টা করছি মানুষকে কীভাবে কমফোর্ট জোনে নিয়ে আসা যায়। কিন্তু বাস্তবতাও মানতে হবে। যুদ্ধের কারণে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার ( ১৫ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর মোটেল সৈকতে আয়োজিত ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুরক্ষা সেবা বিভাগের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্মশালার আয়োজন করে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের এতো পার্থক্য হবে, কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। বাংলাদেশের এসব অর্জন সরকারের ধারাবাহিকতার জন্য সম্ভব হয়েছে। পাকিস্তানের টাকার মান আমাদের চেয়ে অনেক কম। আমাদের ১ টাকা পাকিস্তানের দেড় টাকার উপরে। পাকিস্তানের চেয়ে সব ক্ষেত্রে আমাদের দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। একটা সুন্দর ব্যালেন্স দেশ হিসেবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, মাদক একটি বড় ধরনের সমস্যা। এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাদকের বিরুদ্ধে সর্বত্র সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আগে যারা ফেনসিডিল সেবন করত তারা এখন ইয়াবাসহ অন্য মাদক সেবন করছে। বড় লোকের ছেলেদের এতো চিন্তা কেন? তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবার হোটেল খাচ্ছে। আর ফ্যাশনের জন্য মাদক সেবন করছে। আনোয়ারা-বাঁশখালী রোড ব্যবহার করে একসময় মাদক পাচার হতো। এখন বিভিন্ন রোড ব্যবহার করছে। প্রতিটি মহল্লায় মহল্লায় এ ধরনের কর্মশালা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, মাদক উৎপাদনকারী বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী দেশ উৎপাদন করে। ইয়াবার পর এখন আইস, এলএসডি, ডিওবি এখন মাথাব্যথা। এসব ড্রাগ লেখা প্রিন্টের মাধ্যমে বহন করা হচ্ছে। আগামী কয়েক বছর পর আমরা একটা অক্ষম জনগোষ্ঠী পাব। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে যাবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঠিকানাবিহীন লেনদেন হচ্ছে। যা এনফোর্সমেন্ট করে ঠেকানো সম্ভব নয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুস সবুর, বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল হোসেন। কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএম/এসকেডি