রাজধানীর লালবাগের আব্দুল আজিজ লেনে সাবরিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূ বাথরুমে পা পিছলে পড়ে মারা যান বলে তার শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার পর ময়নাতদন্ত ছাড়া তড়িঘড়ি করে সাবরিনার মরদেহ দাফন করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

কিন্তু বিষয়টি সাবরিনার বাবার কাছে সন্দেহজনক মনে হলে লালবাগ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভিকটিমের স্বামী আজমাইন হোসেনকে আটক করেছে লালবাগ থানা পুলিশ।

সোমবার (১৪ মার্চ) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এম মোর্শেদ।

এম এম মোর্শেদ বলেন, রোববার ভোর ৪টার দিকে স্বামীর বাসার বাথরুমে সাবরিনার মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনার পর সাবরিনার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়। তাদের উপস্থিতিতেই তড়িঘড়ি করে সাবরিনাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। তবে রোববার রাতে সাবরিনার বাবা মো. হাসেম থানায় অভিযোগ করেন, সাবরিনার মুখ তাদের দেখতে দেওয়া হয়নি। তাদের সন্দেহ সাবরিনাকে তার স্বামী হত্যা করেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাবরিনার স্বামী আজমাইনকে আটক করা হয়। সাবরিনার বাবার অভিযোগটি হত্যা মামলা আকারে দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। যদিও সাবরিনার স্বামী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এদিকে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের বিষয়ে লালবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। মামলা দায়ের পর তদন্তের প্রয়োজনে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হতে পারে। তদন্তের স্বার্থে আইনগত সব ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব।

উল্লেখ্য, রোববার ভোর ৪টায় রাজধানীর লালবাগের আব্দুল আজিজ লেনে নিজ বাসায় আজমাইন হোসেন স্ত্রী সাবরিনাকে না পেয়ে টয়লেটে যান খুঁজতে। সেখানে গিয়ে দেখেন টয়লেটে পড়ে মারা গেছেন সাবরিনা। সাবরিনা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী।

এমএসি/এসকেডি