পরিস্থিতি সামলাতে জ্বালানিতে ভর্তুকি বাড়াতে হবে : প্রতিমন্ত্রী
ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান সংকটে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম রেকর্ড ভেঙেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। দেশে জ্বালানির মূল্য ঠিক রাখতে এ খাতে সরকারকে ভর্তুকি বাড়াতে হবে বলে মনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এনার্জি রিপোর্টার অব বাংলাদেশ আয়োজিত মিট দ্যা প্রেসে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
নসরুল হামিদ বলেন, পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে আরও বাড়লে তা সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে। এক বছরেরও বেশি সময় থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বাড়ছে। ডিজেলের দাম গত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে। যদি মূল্য বৃদ্ধির সীমা ছাড়িয়ে যায় তবে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম বাড়বে কি না, তা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন এখন ৮০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। এর পরিমাণ মাসে আড়াই হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। এভাবে চলতে থাকলে তো বিপদ হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এদিকে গরম শুরু হয়েছে, রমজান সামনে আসছে। এখনি প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। বাড়তি অবস্থায় রয়েছে গ্যাসের দাম। সব কিছু মিলিয়ে রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
নসরুল হামিদ জানান, এখন দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। এছাড়াও নির্মাণাধীন আছে ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র। ভবিষ্যতে শীত মৌসুমে বাড়তি বিদ্যুৎ রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
পিএসডি/আরএইচ