ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দেননি ১৭ শিক্ষাবিদ
অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপের প্রথম বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাকে সাড়া দেননি ১৭ জন শিক্ষাবিদ। সংলাপে আউয়াল কমিশনের প্রথম বৈঠকে ৩০ জন শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ইসির ডাকে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন মাত্র ১৩ জন শিক্ষাবিদ।
রোববার (১৩ মার্চ) বিকেল ৩টায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে ইসির প্রথম বৈঠক শুরু হয়েছে। শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নিতে এই সংলাপের আয়োজন করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞাপন
সংলাপে অংশ নেওয়া ১৩ জন শিক্ষাবিদের মধ্যে ১১ জনের নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- সাদেকা হালিম, মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, আবদুল মান্নান চৌধুরী, মফিজুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ড. আখতার হোসেন, আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, জাফর ইকবাল, বোরহান উদ্দিন খান, লায়লাফুর ইয়াসমিন।
আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম; আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, অধ্যাপক এম জাফর ইকবাল, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী; বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসাইন; আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন, অধ্যাপক এম আবুল কাশেম মজুমদার; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম; লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মোহাব্বত খান, অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম; বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ; বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ইউল্যাবের জেনারেল এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক; বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌস হাসান ও তাসনিম আরিফা সিদ্দিকী; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম, অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার।
রীতি অনুযায়ী এর আগের কমিশনগুলোও দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল। ২০০৮ সালে ইসির নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শুরু করা এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন দুইবার সংলাপে বসেছিল। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময়ও সংলাপ হয়েছিল। বিগত নুরুল হুদা কমিশনও সংলাপ করেছিল নির্বাচনী অংশীজনদের নিয়ে। তবে নবনিযুক্ত হাবিবুল আউয়াল কমিশনের মতো দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মাসেই সংলাপে বসেনি কোনো কমিশন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। নতুন কমিশন সবার সঙ্গে পরামর্শ করে নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির কাজে হাত দিতে চায়। প্রয়োজনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আবারও বিভিন্ন দল ও মহলের সঙ্গে বসতে পারে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০২৩ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এসআর/এইচকে