করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন দেশের চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। সংক্রমণ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিকিৎসকের পাশাপাশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নার্সও।  

দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় এ মুহূর্তে অন্তত আরও এক লাখ নার্স নিয়োগের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে এ কথা জানান তিনি। সন্ধ্যায় মন্ত্রীর ফেসবুক পেজে বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বেশকিছু উন্নত দেশ থেকে আমাদের কাছে এ মুহূর্তে হাজার হাজার প্রশিক্ষিত নার্স চাওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক সংখ্যা অনুপাতে দেশেও এ মুহূর্তে আরও অন্তত এক লাখ নার্স নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি পেশায় জড়িতদের জন্য আগামীতে দেশে ও বিদেশে কাজের অপার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।

পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় অনেকটা স্বস্তিদায়ক অবস্থা তৈরি হয়েছে। করোনাকে আমরা শূন্যের কোটায় নামাতে চাই। এ জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রাখতে চাই। এ লক্ষ্যে আমরা টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এমনকি টিকা কর্মসূচি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে আমাদের ২২ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর সাড়ে ১২ কোটি প্রথম ডোজ ও সাড়ে ৮ কোটি দ্বিতীয় ডোজ।

জাহিদ মালেক বলেন, বিশেষ ক্যাম্পেইনে এক দিনে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে টিকাদানে ২০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম স্থানে পৌঁছেছে। সব কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার গাইডলাইনে আমরা কাজ করেছি।

টিআই/আরএইচ