একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন হারুনুর রশিদ। দৈনিক বাংলা মোড়ে অফিস তার। সকাল ১০টায় অফিস শুরু হয়। রাস্তায় যানজটের কথা মাথায় রেখে এক ঘণ্টা আগে বাসা থেকে বের হন তিনি। হাতে এই এক ঘণ্টা সময় রেখেও ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে তার জন্য।  

আজ বুধবার ঢাকা পোস্টকে তিনি বলছিলেন, খিলগাঁও রেলগেট থেকে দৈনিক বাংলা মোড়ে অফিসে যেতে রিকশায় সর্বোচ্চ ১০ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু শাজাহানপুর মোড় আর ফকিরাপুল এলাকায় যানজটের কারণে প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় লাগে। গত এক সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এখন এক ঘণ্টাতেও পৌঁছানো যাচ্ছে না। ফ্লাইওভার থেকে শাহজাহানপুর মোড় রাস্তাটুকু একবারে ব্লক হ‌য়ে থাকে। খুব বাজে অবস্থা।

এ অবস্থা হারুনুর রশিদের একার নয়। অফিসগামী হাজারো মানুষকেই প্রতিদিন যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

মতিঝিল দিলকুশা এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত করেন যারা তারা বলছেন, ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগ অফিস এই এলাকায়। সকাল ১০টায় অফিস শুরু হয়। এ কারণে ৯টার পর থেকেই এসব এলাকায় প্রবেশ পথগুলোতে যানজট সৃষ্টি হয়। খিলগাঁও থেকে দৈনিক বাংলার মোড়ের সড়ক, মুগদা-কমলাপুরের সড়ক, ওয়ারী, টিকাতলি ও গুলিস্তান হয়ে আসার পথগুলোতে যানজট লেগেই থাকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে এই যানজট বেড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর থেকে যানজট পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। পাশাপাশি মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ ও সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের জন্য চলাচলের রাস্তা কমে গেছে।  

শাজাহানপুর মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য জানান, যানজট মূলত শুরু হয় সকাল ৯টার পর, ১১টা পর্যন্ত চাপ থাকে। মূল কারণ অফিসগামী লোকজন একসঙ্গে বের হয়। সবদিক থেকেই গাড়ি আসতে থাকে। তখন যানজট বেড়ে যায়। আবার অফিস ছুটির পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চাপ থাকে। এই দুই সময় যানজট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

খিলগাঁও থেকে গুলিস্তানে লেগুনা চালান শরীফ নামে এক যুবক। তিনি বলেন, খিলগাঁও থেকে গুলিস্তান যেতে ১৫/২০ মিনিট লাগে। কিন্তু সকালে একঘণ্টাতেও অনেক সময় পৌঁছাতে পারি না। 

এসআই/এনএফ