দেশের উন্নয়নে নারীর অবদান ৩৮ শতাংশ
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, সার্বিকভাবে দেশের উন্নয়নে নারীদের অবদান ৩৮ শতাংশ। দেশের স্বাস্থ্য খাতে নারীদের অবদান ৭০ শতাংশ এবং পোশাক খাতে অবদান ৮০ শতাংশ। রাজনৈতিক, অর্থনীতি, প্রশাসন, খেলাধুলা সব জায়গাতে নারীরা এগিয়ে আসছে। নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ছে।
মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) রাতে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল র্যাডিসনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীরা দেশ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। সমাজ ও অর্থনীতিতে নারীদের অবদান আরও বাড়াতে তৃণমূল থেকে নারীদের ক্ষমতায়ের জন্য কাজ করছে সরকার। ফলে বিশ্বব্যাপী লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে বাংলাদেশ গত ১০ বছরের ১১ ধাপ এগিয়ে এখন ৭৫তম দেশের অবস্থান করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, নারী বিদ্বেষী কথা হলে সাথে সাথে প্রতিবাদ করতে হবে। সমাজে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করেত হবে। নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। আর পুরুষদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
চুমকি বলেন, নারীরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে দেশে শিল্পায়নের প্রসার ঘটাতে সহায়তা করছেন। তাদের কারণেই দ্রুত নিম্ন আয়ের দেশ থেকে আমরা উন্নতি করেছি।
তিনি বলেন, সংসদে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথমবার মায়ের নামে সন্তানকে পরিচয় দেওয়ার আইন করেন। আমরা এগোচ্ছি, তবে অনেকদূর যেতে হবে। আমেরিকার ২০০ বছরের ইতিহাসে এখনো কোনো নারী প্রেসিডেন্ট হতে পারেনি।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত রয়্যাল থাই দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতোমোর।
তার আগে ‘উইম্যান অব এক্সিলেন্স এডভেন্সিং জেন্ডার ব্যালেন্স ইন দ্য ওয়ার্কফোর্স’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে পাঁচ নারী তাদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনিয়েছেন।
জাতীয় পর্যায়ে সফল পাঁচজন নারীরা হলেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ট্রাস্ট ব্যাংকের সিইও হুমায়রা আজম, বিখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিমুল ইউসুফ, শেয়ারট্রিপের প্রতিষ্ঠাতা সাদিয়া হক, মার্কস বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড স্বপ্না ভৌমিক।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, মেয়েদের মধ্যে গেরিলা নেটওয়ার্কিং থাকতে হবে। কোনো একজন নারী সমস্যায় পড়লে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সবাইকে নারীদের সহায়তার মানসিকতা থাকতে হবে।
শিমুল ইউসুফ বলেন, একজন পুরুষের চেয়ে মেয়েরা ১০ গুণ কাজ বেশি করে। সাংস্কৃতিক ও থিয়েটার ইন্ডাস্ট্রির জন্য জন্য সরকার পক্ষ থেকে সাপোর্ট দরকার। কারণ, এখনো সমাজ এই অঙ্গনের মেয়েদেরকে ভালো চোখে দেখে না।
সাদিয়া হক বলেন, উদ্যোক্তা হওয়া কঠিন। তবে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। ছোটবেলায় আমাদের ওপর নানা লিমিটেশন চাপিয়ে দেওয়া হয়। সেসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে নিজ নিজ সেক্টরে অবদান রাখার জন্য সফল নারীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এমআই/এইচকে