গত এক সপ্তাহে দেশে করোনায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এ সময়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ টিকার একটি ডোজও নেননি। 

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত এপিডেমিওলজিক্যাল প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক সপ্তাহে মারা যাওয়া ৫২ জনের মধ্যে মাত্র ২১ জন (৪০ দশমিক ৪ শতাংশ) করোনার টিকা নিয়েছিলেন। এই ২১ জনের মধ্যে চার জন এক ডোজ, ১৬ জন দুই ডোজ এবং একজন তিন ডোজ নিয়েছিলেন। আর অবশিষ্ট ৩১ জনই (৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ) করোনা টিকার কোনো ডোজ নেননি। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এদের মধ্যে ২৯ জন ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও কিডনি রোগসহ কোনো না কোনো দূরারোগ্য অসংক্রামক ব্যাধিতে (কোমরবিড) আক্রান্ত ছিলেন। 

এছাড়া মারা যাওয়া ৫২ জনের মধ্যে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ছিলেন। ডায়াবেটিসে ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ, বক্ষব্যাধিতে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ, কিডনি ও নিউরোলজিক্যাল রোগে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। হৃদরোগ, গ্যাস্ট্রোলিভারজনিত, থাইরয়েড ও রিউম্যাটোলজিক্যাল (বাত জ্বর) রোগে আক্রান্ত ছিলেন ৩ দশমিক ৪ শতাংশ করে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মারা যাওয়াদের কেউ কেউ দুই বা ততোধিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তবে গত সপ্তাহে স্ট্রোক, রক্তরোগ ও মানসিক সমস্যাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। 

করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৮৯ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৩৬ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০২ জনে। শনাক্তের হার ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। 

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গত বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান। 

টিআই/আরএইচ