বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় মৎস্য খাতের উন্নয়নে সহায়তা দেবে জাপান। এ লক্ষ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) প্রাথমিকভাবে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার একটি পাইলট প্রকল্প প্রস্তাব করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সাথে এক সভায় জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইয়োহো হায়াকাওয়ার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল এ সহায়তার কথা তুলে ধরেন।

বৈঠকে বলা হয়, কক্সবাজার জেলার ৫টি উপজেলা টেকনাফ, উখিয়া, সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়ায় পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে জাইকা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে জাইকা মৎস্য খাতের ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, সামুদ্রিক মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, আর্থসামাজিক জরিপ সম্পাদন, প্রশিক্ষণ প্রদান, সীফুড প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা, পুষ্টিমান উন্নয়ন এবং মৎস্য খাত সংশ্লিষ্টদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কারিগরি সহায়তা দিতে আগ্রহী।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু রাষ্ট্র। অল্প সময়ের মধ্যে সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে যাচ্ছে। এ খাতে দুই দেশের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ আছে। 

তিনি বলেন, জাপান ও জাইকা বাংলাদেশের সামুদ্রিক এলাকায় মৎস্যসম্পদ অনুসন্ধানসহ নানা খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।

ইয়োহো হায়াকাওয়া বলেন, জাইকা বাংলাদেশের কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা দিতে চায়। এর মাধ্যমে কক্সবাজারের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের আয়বর্ধক কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সিউইড প্রক্রিয়াকরণ, অ্যাকুয়াকালচার, মৎস্যজাত পণ্য বাজারজাতকরণ, মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় কারিগরি সহায়তা দিতে জাইকা প্রস্তুত আছে।  সূত্র : বাসস। 

এনএফ