চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়া শিক্ষার্থী মাহাদী জে আকিবকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত রোববার তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মাথার খুলির একটি হাড় প্রতিস্থাপন করা হবে।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার। তিনি বলেন, আকিবকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে গত রোববার। সে শারীরিকভাবে সুস্থ আছে। কয়েকদিন আগে সে কলেজের পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করেছে। তার মাথায় অস্ত্রোপচার করার আগে কিছু রুটিন পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে কখন অস্ত্রোপচারটি করা হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এই বিষয়ে হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এ সপ্তাহেই অস্ত্রোপচার করে মাথার খুলির একটি হাড় প্রতিস্থাপন করা হবে।

চমেক  হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আকিব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মাথার হাড়ের একাংশ প্রতিস্থাপন করতে অস্ত্রোপচার করা হবে। তবে কখন করা হবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। এগুলোর রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। অস্ত্রোপচারের তারিখ ঠিক হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।  

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাতে এবং ৩০ অক্টোবর দিনে চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ৩০ অক্টোবর প্রতিপক্ষের আঘাতে মারাত্মক আহত হন আকিব। চিকিৎসকরা তখন জানিয়েছিলেন, আকিবের মাথার হাড় ভেঙে গেছে এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

এরপর অপারেশন করে তার মাথার হাড়ের একটা অংশ খুলে পেটের চামড়ার নিচে রাখা হয়। মাথার ব্যান্ডেজে তখন লিখে রাখা হয়, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’। ওই হাড় আরেকটি অপারেশনের মাধ্যমে আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেই অপারেশনটি করার জন্য তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কুমিল্লার স্কুল শিক্ষক গোলাম ফারুক মজুমদারের দুই সন্তানের মধ্যে মাহাদী জে আকিব (২১) ছোট।  তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

কেএম/এসকেডি/জেএস