কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন বিদায়ের ১৩ দিন অতিক্রম করে ১৪ দিন হলো আজ। গত প্রায় দুই সপ্তাহ নিরুত্তাপ ইসিতে নতুন কমিশনের আগমন উপলক্ষে প্রাণ ফিরছে। আজ (সোমবার) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নতুন কমিশন তাদের দায়িত্ব বুঝে নেবে। 

ইসি’র যুগ্মসচিব ও জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৩ দিন ধরে সিইসি ও কমিশনারশূন্য ছিল সচিবালয়। সেজন্য সিইসিসহ কমিশনারদের এখতিয়ারভুক্ত কাজগুলো আপাতত বন্ধ ছিল। তবে আমাদের দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনে কোনো সমস্যা হয়নি। নতুন কমিশন আজ যোগদান করলে আবারও পুরোদমে প্রাণ ফিরে পাবে সচিবালয়।

তিনি বলেন, নতুন কমিশনের যোগদানে ইসি থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গত প্রায় দুই সপ্তাহে কমিশনারদের রুমগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি কমিশনারদের দপ্তরের সবকিছু ঠিকঠাক করা হয়েছে। এছাড়া নতুন কমিশনের আগমনে পূর্বের নামফলক থেকে আগের সিইসি ও ইসিদের নাম সরিয়ে নতুন সিইসিসহ কমিশনারদের নামফলক লাগানো হবে।

এর আগে, রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনারদের সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শপথ পাঠ করান। নিয়োগপ্রাপ্ত চার কমিশনার হলেন- সাবেক জেলা ও দায়রা জজ রাশিদা সুলতানা, ব্রি. জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এবং সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।

গত শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। একই সঙ্গে চার কমিশনারকেও নিয়োগ দেন। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এসআর/এইচকে