টিকা না নিলে দোকানপাট বন্ধ, সেবা পাবে না কেউ
রাজধানীর দক্ষিণখানের মোল্লারটেক এলাকার ঢাকা স্ট্যান্ডার্ড স্কুল। গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় এখানে টিকা দেওয়া হচ্ছে— এমন খবরে সকাল থেকেই নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন। লাইনে দাঁড়ানো কেউ আগে করোনাভাইরাসের টিকা নেননি। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদই নেই। তবুও তারা টিকা নিতে পারবেন— এমনটাই জানানো হয়েছে।
এই টিকা কেন্দ্রসহ আশপাশের কেন্দ্র পরিদর্শনে আসবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম— এমন খবরে এই কেন্দ্রে সাজসাজ রব। টিকা নিতে আসা মানুষ ও উৎসুক জনতার ভিড় আগে থেকেই ছিল। সরেজমিনে দেখা গেল, কেন্দ্রের পাশে রাখা আছে দুটি খোলা ট্রাক। এই ট্রাকে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে করোনার টিকা নিয়ে গাই পরিবেশন করছেন হলুদ পোশাক পরা বাউলরা। তাই গাইছেন, মহামারি করোনাভাইরাস ভাইরে সহজে যাবে না— সব মানুষ টিকা নিলে করোনা আমাদের হবে না।
বিজ্ঞাপন
বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ টিকা কেন্দ্রে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। গান পরিবেশন করা বাউলদের সেই খোলা ট্রাকে মেয়র উঠে পড়লেন। মাইক হাতে নিয়ে তিনি বলেন, যারা টিকা নেবেন না তাদের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আগামী ১ মার্চ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। এর আগে যারা টিকা নেবেন না তাদের ট্রেড লাইসেন্স এবং দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশনের কোনো সেবা তারা পাবেন না। আপনি নিজে টিকা নিন, অন্যদেরও টিকা নিতে বলুন। নো টিকা, নো সার্ভিস।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য শতভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা। ছুটির দিনেও ডিএনসিসির সব কেন্দ্রে আমরা টিকা কার্যক্রমের জন্য খোলা রেখেছি। আগামীকাল (শনিবার) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৮৬টি কেন্দ্রে একযোগে টিকা প্রদান করা হবে। টিকা নিতে কোনো টাকা লাগে না, শুধু দরকার আপনার সদিচ্ছা। প্রধানমন্ত্রীর উপহার টিকা হবে সবার।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, আপনি নিজে টিকা নিন এবং আপনার কর্মচারী, দারোয়ান, বুয়া, ড্রাইভার সবাইকে টিকা নিতে বলুন। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্মনিবন্ধন নেই তারাও টিকা নিতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার মোবাইল নম্বর দিয়েই কোনো সমস্যা ছাড়াই আপনি টিকা নিতে পারবেন। সবাইকে টিকা নিতে হবে, কেউ টিকা নেবেন কেউ নেবেন না, তা হবে না।
নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নের দিক তুলে ধরে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আগামী ৬ মার্চ গণভবন থেকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নতুন এসব ওয়ার্ডগুলোর রাস্তার কাজের উদ্বোধন করবেন। ফলে টিকাও হবে রাস্তাও হবে, সুন্দর একটি নগরী হবে আপনাদের জন্য।
এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলরগণসহ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/এইচকে