শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশে এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা আয়োজন জরুরি বলে মত দিয়েছেন আলোচকরা। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সার্বিক সহযোগিতায় সৈকত হাউজিংয়ের মিনা হাউজ গলিতে মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচকরা এ মত দেন। 

বৃহত্তর পশ্চিম জাফরাবাদ বাড়ি মালিক কল্যাণ সমিতি, কারফি সিটিস এলায়ান্স বাংলাদেশ ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্যোগে এ মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড উদ্বোধন করা হয়।

এখন থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সৈকত হাউজিংয়ে ছবি আঁকা, কারুকাজ শিখানো, দাবা-লুডু-ক্যারাম-দড়ি লাফ-ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে নিয়মিত মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ডের ব্যবস্থা করা হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তার বলেন, ঢাকা শহরে এলাকাভিত্তিক খেলা এবং বিনোদনের পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে শিশুরা টিভিতে কার্টুন ও গেইমসে আসক্ত হয়ে পড়ছে। পর্যাপ্ত খেলার জায়গার অভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, নারী ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা বেশিরভাগ সময় বাসায় বন্দির মতোই থাকছেন। সামাজিকীকরণের জন্য এলাকার অভ্যন্তরে গাড়ি কম চলাচল করে এমন রাস্তায় অথবা ছোটগলিতে শিশুদের খেলাধুলা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে সবার বিনোদন ও সামাজিকীকরণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অপরাধও কমে আসবে।

তারা আরও বলেন, পর্যাপ্ত খেলাধুলার সুযোগ না পাওয়ায় শিশুদের কম্পিউটার-মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইসের প্রতি আসক্তি বেড়ে গেছে। করোনাকালে অনলাইনে ক্লাস করার কারণে এ সমস্যা বহুগুণে বেড়ে গেছে। ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্ক নেই। যেগুলো আছে সেগুলো সবাই ব্যবহার করতে পারছে না। কর্পোরেশনের পক্ষে রাতারাতি দ্রুত বড় আকারের মাঠ-পার্ক তৈরি সম্ভব নয়। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের সদিচ্ছা থাকলে এলাকার অভ্যন্তরে খুব কম খরচে ও স্বল্প জায়গায় শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের জন্য মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড করা যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে বৃহত্তর পশ্চিম জাফরাবাদ বাড়ি মালিক কল্যাণ সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সিনিয়র প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম এ মান্নান মনির প্রমুখ।

এএসএস/এসএসএইচ