শহীদ মিনারে সাংবাদিক পীর হাবিবের মরদেহে শ্রদ্ধা
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার জন্য পীর হাবিবের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়।
বিজ্ঞাপন
সেখানে পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা সম্পাদক শামসুর নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ তাজ শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ, জাতীয় পার্টি, রাবির ব্যাচ ৮৭, আমরা মুক্তিযাদ্ধার সন্তান, বাংলাদেশ আবৃত্তি পরিষদ, ফুটবলার কায়সার আহমেদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, পীর হাবিবুর রহমান সাহসী স্বপ্নবান মানুষ ছিলেন। তিনি ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন শুনে খুব খুশি হয়েছিলাম। হঠাৎ করেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
হাসানুল হক ইনু বলেন, পীর হাবিবুর রহমান যথাযথভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তার প্রয়োজন ছিল। অকালেই চলে গেলেন তিনি।
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। বাদ জোহর জাতীয় প্রেস ক্লাবে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হবে। এদিন বিকেল ৩টায় তার মরদেহ কর্মস্থল বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে নেওয়া হবে।
এরপর সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে তার মরদেহ। বাদ জোহর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদে এবং নিজ গ্রাম মাইজবাড়ীতে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে বরণ্যে এই সাংবাদিককে শায়িত করা হবে।
এর আগে শনিবার বাদ এশা রাজধানীর উত্তরা ৪নং সেক্টর পার্ক জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পীর হাবিবুর রহমান স্ট্রোক করলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
গত ২২ জানুয়ারি পীর হাবিবুর রহমান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হলেও কিডনি জটিলতার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ট্রোক করেন তিনি।
২০২১ সালের অক্টোবরে মুম্বাই জাসলুক হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমে ক্যান্সার মুক্ত হন পীর হাবিবুর রহমান।
বরেণ্য সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমানের জন্ম ১৯৬৩ সালের ১২ নভেম্বর সুনামগঞ্জ শহরে।
এইচআর/এসএসএইচ