বিএফইউজের প্রতিনিধি সভা স্থগিতের নিন্দা
হঠাৎই বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ত্রি-বার্ষিক প্রতিনিধি সভা স্থগিতের নিন্দা জানিয়েছেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও অঙ্গ ইউনিয়নের সদস্যরা।
শনিবার বিএফইউজে দফতর সম্পাদক বরুন ভৌমিক নয়নের সই করা এক বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গত ২৮ আগস্ট ফেডারেল নির্বাহী পরিষদের সভায় সর্বসম্মতভাবে ২৫ সেপ্টেম্বর ত্রি-বার্ষিক প্রতিনিধি সভা এবং ২৩ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
সে অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ভোটার তালিকা সংগ্রহ করেন। দফায় দফায় প্রতিনিধি সভার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। অসুস্থতার অজুহাতে সভাপতি কোনো কোনো সভায় অনুপস্থিত থাকলেও সব প্রস্তুতি তাকে অবহিত করা হয়। এক দিন পিছিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকতে সম্মতি দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সর্বশেষ ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব উপস্থিত থেকে সব বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং প্রস্তুতিকাজে অংশ নেন।
নেতারা বলেন, সভায় সভাপতিত্ব করেন সহ-সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কার প্ররোচনায়, কোনো কারণ না দেখিয়ে কেন প্রতিনিধি সভা স্থগিত করলেন, তা আমাদের কাছে অজ্ঞাত। এফইসির কোনো সিদ্ধান্ত কোনো কর্মকর্তা এককভাবে বদল বা বাতিল করতে পারেন না।
তারা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিএফইউজে এবং সাংবাদিক সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার চক্রান্তের অংশ হিসেবেই সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এ কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে কাউকে অবহিত না করে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিএনপি-জামায়াত চক্রের সাথে একই মঞ্চে সরকারবিরোধী যে আন্দোলনের সূচনা করেছেন, এ যড়যন্ত্র তারই অংশ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারকে ব্রিবত করার জন্য সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিএফইউজের ক্ষমতা দখল করে রেখে নিজেদের স্বার্থে আমাদের প্রিয় সংগঠনের নাম ব্যবহারের যে হীন উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নেমেছেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
আকস্মিকভাবে প্রতিনিধি সভা স্থগিত করায় অনেক প্রতিনিধি ঢাকায় এসে বা অনেকে ঢাকার পথে রওনা হয়ে যে হেনস্থার শিকার হয়েছেন, তার সব দায়-দায়িত্ব নিতে হবে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, বিএফইউজের বর্তমান নির্বাহী কমিটির মেয়াদ গত ৩০ জুলাই শেষ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। কাজেই বর্তমান সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি আর দায়িত্বে নেই। এ পদবী নিয়ে তারা যেসব কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করছেন, সেখানে থাকার নৈতিক অধিকার তারা হারিয়েছেন। আমরা সরকারি সব দফতরকে বিষয়টি নজরে নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
নেতারা বলেন, আমরা দেখেছি, মেয়াদকালে এ সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গঠনতন্ত্রের কোন তোয়াক্কা করেননি। কিন্তু ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য নানা ফাঁকফোকর খুঁজছেন। আমরা বর্তমান সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এবং তাদের দোসরদের প্রত্যাখ্যান করে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে বিএফইউজেতে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাই। বিএফইউজের সব সদস্যকে অপেশাদার, ষড়যন্ত্রকারীদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।
এমএসি/আরএইচ