পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হয়রানির শিকার সাংবাদিক
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হয়রানির শিকার সাংবাদিকের নাম এমদাদুল হক তুহিন। তিনি সারাবাংলা ডটনেটে সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত।
বিজ্ঞাপন
এ সাংবাদিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় পুলিশের দায়িত্ব পালনের ছবি তুলতে গেলে আমাকে বাধা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে আমার কাছে থাকা মোবাইল হ্যান্ডসেটটি কেড়ে নেওয়া হয়। অবশ্য অন্য এক পুলিশ সদস্য সাংবাদিক পরিচয় জানার পর এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এমদাদুল হক তুহিন বলেন, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ কীভাবে পালন করা হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন করতে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলাম। সেখানে মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে আরোহী থাকলে চেকপোস্টে থামিয়ে মামলা দেওয়া হচ্ছিল। কোনো কোনো মোটরসাইকেলের চালক চেকপোস্ট পার হয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় তেজগাঁও থানার পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার লাঠি দিয়ে যাত্রীদের আঘাত করছিলেন। আমি এ দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করলে আমার হ্যান্ডসেটটি তারা কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি হয়রানি করেন।
তিনি বলেন, আনোয়ার নামের ওই কনস্টেবল ক্ষিপ্ত হয়ে আমার দিকে তেড়ে আসেন। পেছন থেকে আমার কলার চেপে ধরেন তেজগাঁও থানার উপপরির্দশক (এসআই) শরিফুল ইসলাম। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর শরিফুল কলার থেকে হাত নামিয়ে ফেলেন। কিন্তু আনোয়ার আমার ওপর চড়াও হন। তার ভাই যমুনা টিভিতে কাজ করেন— এ কথা বলে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে জোর করে তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার সময় হাতে ব্যথা পাই আমি। এ ঘটনায় আমার মোবাইলের স্ক্রিনও ফেটে গেছে। প্রায় ১৫ মিনিট আটকে রাখার পর ঘটনাস্থলে তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ আলম এসে আমার মোবাইল ফেরত দেন। পুলিশের এ আচরণে আমি মর্মাহত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার এসআই শরিফুল ইসলাম জানান, তারা দায়িত্ব পালন করার সময় উনি (সাংবাদিক) ভিডিও করেছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে পেছন থেকে তাকে ধরা হয়। তবে তিনি সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরই ছেড়ে দেওয়া হয়। যদি তার আইডি কার্ড ঝুলানো থাকত, তাহলে ঘটনা হয়তো ঘটতো না।
এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিক এমদাদুল হক তুহিনকে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ রিপোর্টার্স ফোরাম (জিএমআরএফ) ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ)।
একে/এমআই/এসকেডি