পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার পেলেন ৭ সাংবাদিক
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে ৭ বিভাগে ৭ জন সাংবাদিক পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার ২০২১ পেয়েছেন।
রোববার (২৭ জুন) রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার-২০২১’ জয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বিজ্ঞাপন
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার পাওয়া ৭ সাংবাদিক হলেন- জাতীয় বাংলা দৈনিক জবাবদিহি’র প্রতিবেদক সাদেকুর রহমান, জাতীয় ইংরেজি দৈনিক ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’র জসীম উদদীন হারুন, বাংলাভিশন টিভির প্রতিবেদক আল মামুন, আঞ্চলিক দৈনিক সিলেট মিরর-এর প্রতিবেদক শুয়াইবুল ইসলাম, বাংলাদেশ বেতারের মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজ২৪-এর প্রতিবেদক সোলায়মান হাজারী এবং নারী সাংবাদিক চ্যানেল আই’র আঞ্জুমান লায়লা।
পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন এবং এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান পিএএ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারির দীর্ঘ সময়ে অনলাইনে এবং টিভির মাধ্যমে পাঠদান চলমান থাকলেও স্বাভাবিকভাবে ক্লাস করতে না পারার কারণে শিক্ষার্থীদের কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের পক্ষ থেকে যতদ্রুত সম্ভব বিটিভি’র একটি শিক্ষা চ্যানেল চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, আজকের পৃথিবী তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর এবং কোন জাতি তথ্যপ্রযুক্তিতে কতটুকু শিক্ষিত সেটার ওপর সেই জাতির প্রবৃদ্ধি, অগ্রগতি ও উন্নয়ন নির্ভর করছে। আমাদের দেশ এই করোনাকালেও এগিয়ে চলার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করোনার মধ্যেও তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছি।
দেশ আজ ডিজিটাল হয়েছে বিধায় এটি সম্ভবপর হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। তার নেতৃত্বে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি। তার ধারণা থেকেই আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের চেতনা এসেছে। ধন্যবাদ জানাই জুনাইদ আহমেদ পলককে এবং তার দলকে এটি বাস্তবায়নের জন্য।
সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও ডিজিটাল লিটারেসি’র বিকল্প নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই আমরা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী সাংবাদিকদের জন্য ই-লিটারেসি প্রশিক্ষণ শুরু করব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার কারণে বিশ্বের বুকে আমাদেরর সম্মান বহুগুণ বেড়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে গত ১৫ মাসে ৩৮ লাখ নথির কাজ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
সচিব মো. মকবুল হোসেন জানান, নাগরিকদের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ যত প্রকার সুবিধা প্রবর্তন করেছে, তা দেশের সকল মানুষকে জানাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
একে/এইচকে