প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর দ্রুত জনপ্রিয়তার ফলে সাংবাদিকতা এবং অধিকার সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনা এখন অনেকাংশেই ডিজিটাল যোগাযোগের ওপর নির্ভরশীল। তবে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে যে ব্যবহারিক জ্ঞান প্রয়োজন তার অভাব থাকায় নারী সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা প্রায়শই অনলাইন হয়রানির শিকার হন।

বুধবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ভয়েস’ নারী সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের অংশগ্রহণে ডিজিটাল সুরক্ষা ও নিরাপত্তা শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। সেখানেই বক্তারা এসব কথা বলেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কর্মশালার উপজীব্য ছিল— সাংবাদিক ও নারী অধিকার কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও ব্যবহারিক দিকনির্দেশনার ওপর আলোকপাত করা, যাতে তারা ডিজিটাল নিরাপত্তার হুমকিসমূহ এবং অনলাইনে বিভিন্ন হয়রানির মোকাবিলা করতে পারেন। এছাড়া এই উদ্যোগের মাধ্যমে, সাংবাদিক এবং নারী মানবাধিকারকর্মীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিরাপদভাবে কাজ করতে আত্মবিশ্বাসী হবে এবং নিজেদের অনলাইন নিরাপত্তা ও তাদের মূল্যবান তথ্যের সোর্সসমূহকে সুরক্ষিত করতে পারবে।

কর্মশালায় ই-মেইল ও বার্তা আদান-প্রদানে এনক্রিপ্টেড বা সুরক্ষিত যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্ব তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞ আশরাফুল হক। তিনি বলেন, সুরক্ষিত মাধ্যমে পেশাগত যোগাযোগ করলে পরীক্ষিতভাবে ডিজিটাল হুমকি ও হয়রানি এড়িয়ে চলা যায়, যা নারী সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া, তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়ে বিভিন্ন ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে, বিশ্বজুড়ে বিশ্বস্ত যোগাযোগ সহায়ক হিসেবে পরিচিত ভিপিএন ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।

ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, সাংবাদিক ও নারী মানবাধিকারকর্মীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অনুসন্ধানী তথ্য থাকে। যার ফলে তারা প্রায়ই বেআইনি নজরদারি বা হ্যাকিংয়ের সম্মুখীন হন। তাদের পেশাগত এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল সুরক্ষার দক্ষতা নির্মাণে ভয়েস বদ্ধপরিকর।

এমজে