'ষাটের দশকের শুরু থেকে আমৃত্যু সাংবাদিকতার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও গণমানুষের পক্ষে সাংবাদিকতা করেছেন আতাউস সামাদ। ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার মধ্য দিয়ে তিনি অনুকরণীয় ভূমিকা রেখেছেন প্রতিটি গণআন্দোলনে। সত্য তথ্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মধ্যমে ক্ষমতাকে প্রশ্ন করা অব্যাহত রাখতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক আতাউস সামাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণ সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা এসব কথা বলেন। আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত সভাটি সাংবাদিক রফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

আতাউস সামাদকে দেশের সাহসী সাংবাদিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, ‘তিনি সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন। সত্য সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতেন। এ জন্য আতাউস সামাদকে এরশাদ আমলে কারাবরণ করতে হয়েছে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, ‘ইতিহাসের বিভিন্ন জায়গায় ও পর্বে আতাউস সামাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। শুধুমাত্র সাংবাদিক নয়, ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ গণবুদ্ধিজীবী। মানুষের অধিকার আর রাষ্ট্রের মুক্তির জন্য লেখালেখি এবং কিছু একটা করার তাগিদ সর্বদাই তার মনস্তত্বে ছিল। মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিতে তিনি গণমাধ্যমে এবং মাঠে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।’

আতাউস সামাদের সাহসী সাংবাদিকতার স্মৃতিচারণ করে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আতাউস সামাদ সাংবাদিক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্ষমতাকে প্রশ্ন করে গেছেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য আমাদের বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পক্ষে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে।’

ছড়াকার ও সাংবাদিক আবু সালেহ বলেন, ‘সাংবাদিক আতাউস সামাদ ছিলেন আমাদের আইকন। সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে তিনি দেশের সব আন্দোলন অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আমার দেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএফইউজের সহ-সভাপতি একে এম মহসিন, প্রায়ত আতাউস সামাদের ভাতিজা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।

ওএফএ/এসকেডি