শফিউজ্জামানসহ পাঁচ সাংবাদিককে হয়রানি, যা বলছে সিপিজে
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) রোষানলে পড়ে ছয়দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শেরপুরের নকলার সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা। এছাড়া লালমনিরহাট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ-আল-নোমান সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া পাঁচ সাংবাদিককে নিজ কার্যালয়ে আটকে রেখে হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
চলতি মাসে দেশে সাংবাদিক নিপীড়নের আলোচিত দুটি ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় নিউইয়র্ক ভিত্তিক বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২০ মার্চ) এক সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সিপিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন
সংগঠনটি বলছেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিৎ সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা। একই সঙ্গে লালমনিরহাটে পাঁচ সাংবাদিককে হয়রানির ঘটনাও তদন্তের আহ্বান জানায় সিপিজে।
সিপিজে জানায়, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছিলেন, তথ্য কমিশন ঘটনাটি তদন্ত করবে। প্রতিমন্ত্রী সিপিজেকে বলেছিলেন, কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি তিনি ১৮ মার্চ পাবেন। তদন্ত প্রতিবেদনের ফলাফলের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সিপিজের পরবর্তী অনুরোধে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি।
লালমনিরহাটে পাঁচ সাংবাদিককে হয়রানি
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে সিপিজে তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ১৪ মার্চ তথ্য সংগ্রহ করতে সাংবাদিক মাহফুজ সাজু লালমনিরহাট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে যান। সেখানে ভূমিসংক্রান্ত বিষয়ে শুনানির ভিডিও ধারণ করায় কার্যালয়ের কর্মচারীরা তাকে আটকে রাখেন। পরে খবর পেয়ে লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের চার সদস্য সেখানে গেলে তাদেরও আটকে রাখা হয়। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ সাংবাদিককে মুক্ত করেন।
নিপীড়নের শিকার অপর চার সাংবাদিক হলেন, মাজহারুল ইসলাম বিপু, এস কে সাহেদ, নিয়ন দুলাল, লিয়াকত আলী।
সিপিজে জানায়, লালমনিরহাটের ঘটনায় মন্তব্যের জন্য সিপিজের অনুরোধে তাৎক্ষণিক সাড়া দেননি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
সিপিজের এশিয়া বিষয় সমন্বয়কারী বেহ লিহ ই বলেন, সাংবাদিক শফিউজ্জামানকে প্রতিহিংসামূলকভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি তদন্তকে সিপিজে স্বাগত জানায়। তিনি মনে করেন, তথ্য চেয়ে সাংবাদিকদের প্রতিহিংসার শিকার হওয়া উচিৎ নয়।
তিনি বলেন, লালমনিরহাটে সরকারি অফিসে পাঁচজন সাংবাদিককে আটকে রাখার ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্ত শুরু করা উচিৎ।
এমএসএ