প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৪ জন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ১৪ জন। সবশেষ গত ১০ এপ্রিল করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান প্রবীণ সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার।

সাংবাদিকদের ফেসবুক গ্রুপ ‘আমাদের গণমাধ্যম, আমাদের অধিকার’-এ এসব তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ থেকে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। এক মাসের ব্যবধানে ১২২ জন সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছরের জুন মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে এক মাসে সর্বোচ্চ ৯ জন সাংবাদিক মারা যান।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল লোহানী, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানসহ আরও অনেকে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে সংগঠনের অন্তত ৫০ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত। কাউকে কাউকে বাসায় অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। আক্রান্তদের অর্ধেকের কম হাসপাতালে শয্যা পেয়েছেন। বাকিরা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেক সাংবাদিকের জন্য আইসিইউ বেড পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে, জেনেভাভিত্তিক সংস্থা দ্য প্রেস এমব্লেম ক্যাম্পেইন (পিইসি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের ৭৪টি দেশে এক হাজার ৬৩ জন সাংবাদিকের প্রাণহানি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ১৭৪ জন মারা গেছেন ব্রাজিলে। ভারতে ৬৩ জন, বাংলাদেশে ৪৮ জন, পাকিস্তানে ২৩ জন, আফগানিস্তানে ৯ জন, নেপালে ৩ জন সাংবাদিক মারা গেছেন। সাংবাদিকদের প্রাণহানির সংখ্যার দিকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ।

করোনাকালের শুরু থেকে চরম ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরা মাঠে কাজ করছেন। গত বছরের ২৮ এপ্রিল প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান দৈনিক সময়ের আলোর প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবির খোকন।

পিএসডি/এমএইচএস/জেএস