পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ।

রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে গভীর নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ। সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির খবর সংগ্রহ করেন এবং জনগণের সামনে তা উপস্থাপন করেন। কিন্তু এ দায়িত্ব পালনে তাদের ওপর আক্রমণ বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া খুবই উদ্বেগের। গতকাল শনিবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫ জন সাংবাদিক আহত বা হামলার শিকার হয়েছেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং উদ্বেগের।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ সব রাজনৈতিক দল ও নিরাপত্তা বাহিনীকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।

শনিবার বিএনপির সমাবেশ কাভার করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত সাংবাদিকরা হলেন— নিউএইজের আহম্মদ ফয়েজ, বাংলা ট্রিবিউনের সালমান তারেক শাকিল, দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার আরিফুর রহমান রাব্বি, একুশে টিভির তৌহিদুর রহমান, দ্য রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান ও আলোকিত বাংলাদেশের ডি.এম. আমিরুল ইসলাম অমর, ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, দৈনিক কালবেলার রাফসান জানি, আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম রুবেল, তৌহিদুল ইসলাম তারেক, দৈনিক আমাদের কণ্ঠের রাজু আহমেদ, ঢাকা টাইমসের সালেকিন তারিন, ব্রেকিং নিউজের কাজী ইহসান বিন দিদার, দৈনিক ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার তানভীর আহাম্মেদ, একুশে টিভির ক্যামেরাম্যান আরিফুর রহমান, ইত্তেফাকের শেখ নাছের, ফ্রিল্যান্সার মারুফ, ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক মো. মাসুদ পারভেজ আনিস, দৈনিক আমার সংবাদের আবদুল্লাহ আল নোমান এবং নুরুজ্জামান শাহাদাৎসহ ৩০ জনেরও অধিক সাংবাদিক আহত হন। 

এআর/এমএ