রাজনৈতিক কর্মসূচির খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ। 

শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল বাবুর পাঠানো এক বিবৃতিতে ঘটনায় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি কর্মীদের হামলায় অনেক গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আহত পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ক্যামেরা, ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল।

শনিবার বিএনপির ডাকা সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ চালাতে গেলে সেই দৃশ্য ধারণ করেন সাংবাদিকরা। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরা। তারা হামলা করেন সাংবাদিকদের ওপর।

সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা যেন কোনো ছাড় না পায়, সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এডিটরস গিল্ড।
 
অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করার সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত সাংবাদিকরা হলেন, নিউএইজের আহম্মদ ফয়েজ, বাংলা ট্রিবিউনের সালমান তারেক শাকিল, দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার আরিফুর রহমান রাব্বি, একুশে টিভির তৌহিদুর রহমান, দ্য রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান, আলোকিত বাংলাদেশের ডি.এম. আমিরুল ইসলাম অমর, ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, দৈনিক কালবেলার রাফসান জানি, আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম রুবেল ও তৌহিদুল ইসলাম তারেক।

আহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন, দৈনিক আমাদের কণ্ঠের রাজু আহমেদ, ঢাকা টাইমসের সালেকিন তারিন, ব্রেকিং নিউজের কাজী ইহসান বিন দিদার, দৈনিক ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার তানভীর আহাম্মেদ, একুশে টিভির ক্যামেরাম্যান আরিফুর রহমান, ইত্তেফাকের শেখ নাছের, ফ্রিল্যান্সার মারুফ, ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক মো. মাসুদ পারভেজ আনিস, দৈনিক আমার সংবাদের আবদুল্লাহ আল নোমান ও নুরুজ্জামান শাহাদাৎসহ আরও অনেক সাংবাদিক। 

এআর/কেএ