বাংলাদেশে সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যে ঐক্যের অভাব রয়েছে, যদি পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করে কাজ করা যায় তাহলে সাংবাদিকতার ঝুঁকি কমানো সম্ভব বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বুধবার (১১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম শহরে কর্মরত জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই সাংবাদিকতায় ঝুঁকি আছে, এই ঝুঁকি বাংলাদেশেও আছে; একই ঝুঁকি সিভিল সোসাইটির ক্ষেত্রেও আছে। তারপরও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে আমাদের কাজ করতে হবে। আমি আশা করি, বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাধীন মত প্রকাশের যে অধিকার আছে, সেটি নিশ্চিত করা হবে। তাতে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশে সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যে ঐক্যের অভাব আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করে কাজ করতে পারলে ঝুঁকি অনেক কমে আসবে। টিআইবি সাংবাদিকদের উৎকর্ষ সাধনে ধারাবাহিক যে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, তারই ধারাবাহিকতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এবারের কর্মশালায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা অন্তভূর্ক্ত করায় এর ব্যাপ্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

কর্মশালার উদ্বোধন করেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ ড. সুসান ভাইজ। তিনি বলেন, গণমাধ্যম, সাংবাদিকতা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, গণমাধ্যমের উন্নয়ন সূচক এবং সাংবাদিকতার উৎকর্ষ সাধনে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ হলো ইউনেস্কোর কাজের বিশেষায়িত ক্ষেত্র। যখন থেকে ইউনেস্কো শান্তি-ন্যয়বিচার-মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা শুরু করেছে, তখন থেকেই তথ্যের অবাধ প্রবাহ ত্বরান্বিতকরণ নিয়ে কাজ করছে। যার ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ‘ইউ এন প্ল্যান অব একশন অন সেফটি অব জার্নালিস্ট’ গ্রহণ করেছে এবং তার বাস্তবায়নে কাজ করছে।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম ও সমন্বয়ক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সহসমন্বয়ক জাফর সাদিক এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের কমিউনিকেশন অফিসার নূরে জান্নাত প্রমা। 

আরএম/কেএ