ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্যদের সন্তানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৩। বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিনব্যাপী চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও গানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। উৎসব উপলক্ষ্যে সাজসজ্জা করা হয় ডিআরইউ প্রাঙ্গণ। দিনব্যাপী এ আনন্দ আয়োজনে সদস্য সন্তান ও সদস্যদের উপস্থিতিতে মুখরিত ছিল ডিআরইউ চত্বর। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সংগঠনের নসরুল হামিদ মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব। বিকেল ৩টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে তিনি শিশু-কিশোরদের সৎ ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান। 

সাংস্কৃতিক উৎসবে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (সঙ্গীতে) দেশ বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী ইয়াসমিন মুসতারি, ফকির শাহাবুদ্দিন ও হাসান মাহমুদ। (আবৃত্তিতে) আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, মুনা চৌধুরী ও লিজা চৌধুরী। (চিত্রাঙ্কনে) বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান ও ইমরান হোসেন।

এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি দীপু সারোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, নারী বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম মনি সেঁজুতি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ক্রীড়া সম্পাদক মো: মাহবুবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন, কল্যাণ সম্পাদক মো. তানভীর আহমেদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য কিরণ শেখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডিআরইউ'র সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী।

ক বিভাগে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, (সঙ্গীতে) আবু আলীর সন্তান আম্মার সামি, কামরুজ্জামান বাবলুর সন্তান ওয়াফী ইবনে জামান স্নিগ্ধ, মো. জয়নাল আবেদীন খানের সন্তান আবিদা জান্নাত আরোশী। (আবৃত্তিতে) জামিউল আহসান সিপুর সন্তান সামান্থা, উবায়দুল্লাহ বাদলের সন্তান লুবাবা মাশিরাত, দেব দুলাল মিত্রর সন্তান সিদ্ধার্থ বিক্রম মিত্র। (চিত্রাঙ্কনে) আব্দুল জাব্বার খানের সন্তান যুহাইর বিন জাব্বার, তোফাজ্জল হোসেন রুবেলের সন্তান হোসেন রাজবীন রাউনাফ, সাইদ শাহীনের সন্তান শার্মিলা সাইদ খুশি।

খ বিভাগে (সঙ্গীতে) সুশান্ত সিনহার সন্তান প্রজন্ম প্রকৃতি প্রাশ্নিক, জান্নাতুল ফেরদৌস পান্নার সন্তান জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, সায়ীদ আবদুল মালিকের সন্তান রাদিতা জাহান নুভা। (আবৃত্তিতে) জহিরুল হক রানার সন্তান রানা তাবাসসুম তীর্ণা, আয়নাল হোসেনের সন্তান আয়নুন নাহার আকসা, সুশান্ত সিনহার সন্তান প্রজন্ম প্রকৃতি প্রাশ্নিক। (চিত্রাঙ্কনে) মো. রহিম উদ্দিনের সন্তান লাবিনা আমিন নুহা, শওকত আলী খান লিখোর সন্তান জাওয়াদ খান, অমরেশ রায়ের সন্তান অর্শা রায়।

গ বিভাগ (সঙ্গীতে) অমিয় ঘটক পুলকের সন্তান প্রজ্ঞা পারমিতা ঘটক, এম এম বাদশার সন্তান নাবিদ রহমান তুর্য ও নওশিন তাবাস্সুম তৃনা। (আবৃত্তিতে) এম এম বাদশার সন্তান নাবিদ রহমান তুর্য ও নওশিন তাবাস্সুম তৃনা, অমিয় ঘটক পুলকের সন্তান প্রজ্ঞা মারমিতা ঘটক। (চিত্রাঙ্কনে) মো. রহিম উদ্দিনের সন্তান নুসাইবা জেরনি লামিয়া, সীমান্ত খোকনের সন্তান সেঁওতি রহমান, অমরেশ রায়ের সন্তান অংকুর রায়।

এমএইচএন/এসকেডি