ভারতীয় চ্যানেলের ল্যান্ডচার্জ বৃদ্ধির দাবি অ্যাটকোর
বর্তমানে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল ভারতে সম্প্রচার করতে গেলে প্রায় ২ কোটি টাকা চার্জ দিতে হয়। কিন্তু ভারতীয় চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে নামমাত্র চার্জে চলে। এ বৈষম্য দূর করতে পদক্ষেপ চায় অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)।
বৃহস্পতিবার এনবিআরের আগারগাঁওয়ের নতুন ভবনে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অ্যাটকোর সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ডিবিসি চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ দাবি উত্থাপন করেন।
বিজ্ঞাপন
ইকবাল সোবহান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল ভারতে ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে প্রায় ২ কোটি টাকা চার্জ আরোপ করা হয়েছে। সে তুলনায় ভারতীয় চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে ডাউনলোড হচ্ছে নামমাত্র চার্জে। এই বৈষম্য দূর করতে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশে প্রদর্শনের জন্য ডাউনলোড চার্জ বা ল্যান্ডচার্জ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন : সংবাদপত্র এখন রুগ্ণ শিল্প, বিশেষ প্রণোদনার দাবি নোয়াবের
প্রস্তাবনায় তিনি আরও বলেন, সেবা রপ্তানি (ইউটিউব, ফেসবুক ইত্যাদি) করে যে বৈদেশিক রেমিট্যান্স পাওয়া যায়, তা ব্যাংকে জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০ শতাংশ উৎসে আয়কর কাটা হয়। যা মিডিয়া শিল্পের আয়ের তুলনায় অনেক বেশি। একই ধরনের বৈদেশিক ব্যক্তি শ্রেণির ক্ষেত্রে আয়কর মুক্ত রাখা হয়েছে। আর বর্তমান আয়কর আইন অনুযায়ী, বিজ্ঞাপন বিল থেকে ৪ শতাংশ উৎসে আয়কর কাটার স্থলে তা ২ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং মিডিয়া শিল্পের ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানির ক্ষেত্রে অন্যান্য শিল্পের মতো শুল্ক ও ভ্যাট মুক্ত করার দাবি করছি।
ইকবাল সোবহান বলেন, করনেট বৃদ্ধি করতে হলে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এনবিআরকে ভালো করদাতা ও খারাপ করদাতা চিহ্নিত করতে হবে। হয়রানি যদি থাকে তাহলে অনেক সৎ করদাতা পিছিয়ে পড়েন। আর একটি বিষয়, নিয়মিত কর দেওয়ার পরেও যদি একটি বয়সে গিয়ে তার বিনিময়ে রাষ্ট্রের কাছ থেকে সেবা পাওয়া না যায়, তাহলে করনেট বৃদ্ধি পাবে না। সে বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে।
এ সময় অ্যাটকোর প্রস্তাবনা বিবেচনার আশ্বাস দেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। অ্যাটকোর পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিদুল হাসান, মাছরাঙা টেলিভিশনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার আবদুল্লাহ আল যাবেদ, সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের এবং বাংলাভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল হক।
আরএম/এসকেডি