শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়েছে প্রয়াত সাংবাদিক এবং প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সাবেক মহাপরিচালক শাহ আলমগীরকে। সভায় তাকে স্মরণ করে বক্তারা বলেছেন, শাহ আলমগীর একজন আপসহীন ব্যক্তি ছিলেন। মানুষকে ভালো পরামর্শ দিতে পারতেন। তার সৎ নির্ভর জীবন মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সুহৃদদের আয়োজিত 'সাংবাদিকতায় শিক্ষণ, প্রশিক্ষণ : শাহ আলমগীর' শীর্ষক এক স্মরণ সভার বক্তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভার শুরুতে আবেগে সিক্ত হয়ে শাহ আলমগীরের মেয়ে অর্চি অনন্যা বলেন, 'আমি বাবাকে নিয়ে বলতে পারি না। কিন্তু লিখতে পারি না। প্রতিবছরই আপনারা বাবাকে স্মরণ করেন, এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আশা করবো সামনেও আপনারা বাবাকে স্মরণ করবেন।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ. আ. ম. স. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শাহ আলমগীর হাতে-কলমে সাংবাদিকতা শিখিয়েছন। আমাদের দায়িত্ব হবে তাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। তিনি সাংবাদিকতা, সামাজিকতা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাকে মনে রাখলে তার উপকার নেই, তবে আমরা উপকৃত হবো। 

প্রেস ইনস্টিটিউট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে তিনি বলেন, এখনো প্রেস ইনস্টিটিউট আইন বাস্তবায়ন হয়নি। এটা নিয়ে কেউ কখনো কাজও করেনি। শাহ আলমগীর এটা নিয়ে ভাবতেন এবং কাজ করেছেন। তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া আইন তৈরি করেছেন। আমাদের তা বাস্তবায়নে কাজ করা জরুরি।

আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, মানুষকে ভালো গাইডলাইন দিতে পারতেন, এমন একজন মানুষ ছিলেন শাহ আলমগীর। এটা একজন সাংবাদিকের জন্য অনেক বড় পাওয়ার ছিল। সাংবাদিকতায় পড়াশোনার চেয়ে হাতে কলমের শিক্ষা অনেক বড়। তিনি প্রতিটি মুহূর্তে শেখাতেন। তার সৎ নির্ভর জীবন যাপন অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে। সভা থেকে শাহ আলমগীরের নামে একটি ট্রাস্ট এবং স্মৃতি পদক প্রবর্তনের কথা জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ. আ. ম. স. আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শাহ আলমগীরের স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি শারমিন রিনভী, আরটিভি'র উপ বার্তা প্রধান মামুনুর রহমান খান, ডিআরইউ'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।

এমএইচএন/এসএম