সাংবাদিক জুয়েল-আজাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসির স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম জুয়েল ও ক্যামেরা পারসন আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
জুয়েল ও আজাদের বিরুদ্ধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভিক্টর ট্রেডিংয়ের সত্ত্বাধিকারী কাওসার ভুইয়ার ভাই নাজমুল হাসান ভুইয়ার দায়ের করা মামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানান বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা।
সমাবেশ থেকে বলা হয়, কাউসার ও তার সহযোগীরা ২ আগস্ট সাংবাদিক জুয়েল ও আজাদের ওপর হামলা চালান। এতে তারা দুজন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় কাওসার ও তার সহযোগীরা গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। কারাগারে বসেই তারা এখন দুই সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এখন দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। কাওসার বাহিনীর সদস্যরা দুই সাংবাদিকের বাসা ও অফিসের সামনে মহড়া দিচ্ছেন।
সাংবাদিক জুয়েল ও আজাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতারা। একইসঙ্গে নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকের দায়ের করা মামলার চার্জশিট দ্রুত দেওয়ার দাবিও জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
সমাবেশ থেকে বলা হয়, জুয়েল ও আজাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। সাত দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে ক্র্যাব, ডিআরইউ, ডিইউজের পক্ষ থেকে শিগগিরই ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, ডিআরইউ সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান, ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম, র্যাক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক নেতা মাহমুদুর রহমান খোকন, গোলাম মুজতবা ধ্রুব, দিপন দেওয়ান, রুদ্র রাসেল, জিয়া খান, নাদিয়া শারমিন, আবু দাউদ খান, সুশান্ত সাহা, আতাউর রহমান, ইসমাইল হোসেন ইমু প্রমুখ।
এমএসি/আরএইচ