প্রতিদিনের বাংলাদেশে সম্পাদক হিসেবে যোগ দিলেন মুস্তাফিজ শফি
রংধনু গ্রুপের প্রকাশিতব্য দৈনিক ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ’ পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বহুমাত্রিক লেখক মুস্তাফিজ শফি। ১ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
গত ২৮ মার্চ রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে মুস্তাফিজ শফির হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন পত্রিকাটির প্রকাশক ও গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আহমেদ অপু।
বিজ্ঞাপন
সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকাকে একটি আধুনিক ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মুস্তাফিজ শফি। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
গত তিন বছরের বেশি সময় দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন মুস্তাফিজ শফি। ১৯৮৮ সালে সাপ্তাহিক সিলেট সংবাদ ও লন্ডনের সাপ্তাহিক সুরমায় লেখালেখির মধ্য দিয়ে মফস্বল পর্যায়ে তার সাংবাদিকতা শুরু। জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকতা শুরু ১৯৯৪ সালে। গত প্রায় ২৮ বছরে কাজ করেছেন আজকের কাগজ, দৈনিক মানবজমিন, প্রথম আলো, আমার দেশ, কালের কণ্ঠ, সমকাল প্রভৃতি পত্রিকায়। এর মধ্যে তিনি প্রথম আলোতে ডেপুটি চিফ রিপোর্টার, সমকালে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছাড়াও বার্তা সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক এবং কালের কণ্ঠে নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
মুস্তাফিজ শফি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় জাতীয় পর্যায়ে যে কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক পুরস্কার রয়েছে তার বেশিরভাগই পেয়েছেন। এর মধ্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, লায়ন্স ক্লাব ও ইউনেস্কো ক্লাব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ানো হয় তার একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিবেদন।
সৃজনশীল লেখালেখিতেও সক্রিয় রয়েছেন। এক্ষেত্রে রয়েছে তার নিজস্ব পাঠক গোষ্ঠীও। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তার সম্পাদিত তিনটি বই- ‘মুজিব কেন জরুরি’, ‘বহুমাত্রিক বঙ্গবন্ধু’ ও ‘ভাষণ অথবা একটি কবিতার গল্প’। বই তিনটির ভূমিকা লিখেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মহান বিপ্লবী চে গুয়েভারার রাজনীতি ও জীবন নিয়ে লিখেছেন আলোচিত গ্রন্থ ‘চে’। ‘পড় তোমার প্রেমিকার নামে’, ‘দহনের রাত’, ‘মধ্যবিত্ত কবিতাগুচ্ছ’, ‘মায়া মেঘ নির্জনতা’, ‘কবির বিষন্ন বান্ধবীরা’ তার উল্লেখযোগ্য কবিতার বই। উপন্যাস- ‘ঈশ্বরের সন্তানেরা’, ‘জিন্দা লাশ অথবা রমেশ ডোম’, ‘স্পর্শ’। গল্প- ‘মাধবী কিংবা বনলতার শেষ বোঝাপড়া’। মুস্তাফিজ শফি সক্রিয় রয়েছেন শিশু সাহিত্যেও। ‘ভূতকল্যান সমিতি’ গ্রন্থের জন্য পেয়েছেন সিটি ব্যাংক-আনন্দআলো সাহিত্য পুরস্কার। আর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ‘একাত্তরের বিজয়িনী’ গ্রন্থের জন্য পেয়েছেন মোবাইল ফোন অপারেটর রবির সম্মাননা।
১৯৭১ সালের ২০ জানুয়ারি সিলেটের বিয়ানীবাজারে জন্মগ্রহণ করেন মুস্তাফিজ শফি। তার পৈতৃক বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের জলঢুপ-আস্টসাঙ্গন গ্রামে। বাবা ওই এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রয়াত সফিক উদ্দিন আহমদ ও মা প্রয়াত জয়গুন নেসা। বাবা-মায়ের ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি পঞ্চম। বাংলায় স্নাতোকোত্তর মুস্তাফিজ শফি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। স্ত্রী নূরজাহান আক্তার, কন্যা রূপকথা তাসনিয়া ও পুত্র ঋদ্ধ তানজিম।
এনএফ