অমর একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের বই 'নবাবী বাংলার অভিজাত শ্রেণি: রাজনীতি সমাজ ও সংস্কৃতি'।

বইটির প্রকাশক বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। বইটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। নবাবী বাংলার উপর লিখিত বইটি পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ৬৬৪ ও ৬৬৫  নং স্টলে।

বইটিতে মূলত লেখক তৎকালীন বাংলার নবাবী যুগের ইতিহাস বিশদভাবে আলোচনা করেছেন। বলা বাহুল্য, নবাবী শাসনামল বাংলার ইতিহাসে একটি চিত্তাকর্ষক অধ্যায়। সঙ্গত কারণেই লেখক ইতিহাস অনুরাগী পাঠকদের কথা মাথায় রেখেই বইটি অত্যন্ত চমৎকারভাবে সাজিয়েছেন। মুঘল সম্রাটদের দূর্বলতার সুযোগে কিভাবে বাংলার নবাবগণ স্বাধীন হয়ে উঠলেন-তার উত্তর এই বই পাঠে জানা সম্ভব।

বইটিতে লেখক নবাবী বাংলার নিয়ামক শক্তি বলে খ্যাত অভিজাত শ্রেণিরও বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন যা ইতিহাস রচনায় যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা। আবার বইতে প্রয়াস করা হয়েছে পলাশী যুদ্ধ ও ইংরেজদের কর্মকাণ্ড নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে ফুটিয়ে তোলার। বইটিতে রয়েছে এমন অনেক অজানা তথ্য যা পাঠককে নিয়ে যাবে তার কল্পনার রাজ্যে। 

অধ্যাপক মোহাম্মাদ ছিদ্দিকুর রহমান খান তার বই সম্পর্কে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, এবারের বই মেলায় আমার বইটি ইতিহাস সচেতন পাঠকদের মনের খোরাক জোগাবে বলে আশা করছি। বইটিতে অনেক দুর্লভ তথ্য সন্নিবেশিত করেছি যা পাঠকের জানার পরিধিকে করবে আরও সমৃদ্ধ। পূর্বে প্রকাশিত আমার বই গুলো পাঠক সমাজ সাদরে গ্রহণ করায় আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তাদের ভালোবাসা নিয়েই লেখালেখি ও গবেষণা চালিয়ে যেতে চাই।

ড. মোহাম্মাদ ছিদ্দিকুর রহমান খান মূলত ইতিহাস বিষয়ের একজন লেখক হিসেবে পাঠক সমাজে সুপরিচিত। তার রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৮টি। পূর্বে প্রকাশিত তার প্রায় সব গুলো বই পাঠক সমাজে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ড.খান বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কলাম লেখার পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনার জন্য টেলিভিশনের বিভিন্ন টকশোতে নিয়মিত অংশ নিয়ে থাকেন।

ছিদ্দিকুর রহমান একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদে। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের গবেষণা জার্নাল ‘ইতিহাস’ পত্রিকার সম্পাদক। লেখক পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ, বাংলাদেশ আঞ্জুমানে ফারসি ও ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেসের জীবন সদস্য। অধ্যাপক খান বর্তমানে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।