বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বই লেখার মাধ্যমে একজন লেখকের পক্ষে অমরত্ব লাভ করা সম্ভব। সবাইকে একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু যিনি বই লিখেছেন সেই বই তাকে অমর করে রাখবে।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কবি মালা ভৌমিকের ২য় কাব্যগ্রন্থ ‘প্রাণন স্পন্দন ’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় শারফুদ্দিন আহমেদ চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বই লেখার এবং সাহিত্যের প্রতি অনুরাগী হওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে মালা ভৌমিকের ২য় কাব্যগ্রন্থ ‘প্রাণন স্পন্দন’ এর প্রশংসা করেন এবং তার সাহিত্য চর্চার সফলতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, হাওলাদার প্রকাশনীর প্রকাশক মো. মাকসুদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দিন শাহ, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিজয় কুমার পাল, ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল হাকিম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মালা ভৌমিক ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার সিলিমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা স্বর্গীয় বলরাম ভৌমিক এবং মা গোলাপী ভৌমিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ও একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

২০২০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অনুভূতির অনুকাব্য’ প্রকাশিত হয়। ‘প্রাণন স্পন্দন’ বইটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় হাওলাদার প্রকাশনী, স্টল নং ৩৩৭,৩৩৮, ৩৩৯-এ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া রকমারি ডট কম থেকেও বইটি সংগ্রহ করা যাচ্ছে।

টিআই/এসকেডি