ইসলামি লেখক ফোরামের সম্মাননা পেলেন ঢাকা পোস্টের নুরুদ্দীন তাসলিম
সাহিত্য চর্চা ও সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় লেখকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরামের প্রতিবেদন ও ফিচার ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের সাব-এডিটর নুরুদ্দীন তাসলিম। ঢাকা পোস্টে তার প্রকাশিত ‘হাজরে আসওয়াদ: জান্নাতি পাথরটি এলো যেভাবে’ এই সম্মাননার জন্য মনোনীত হয়েছে।
নুরুদ্দীন তাসলিম ছাড়াও ‘লেখক ফোরাম গ্রন্থ সম্মাননা-২০২৪’ পেয়েছেন দশ লেখক ও তিন সাংবাদিক।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী লেখক ও সাংবাদিকদের বিশেষ উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
ফোরাম সভাপতি কবি মুনীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমিন ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বরেণ্য লেখক ও মুহাদ্দিস মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, মাসিক আদর্শ নারীর সম্পাদক আবুল হাসান শামসাবাদী, লেখক অনুবাদক জুবাইর আহমদ আশরাফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বার্তা টুয়েন্টফোরের সহকারী সম্পাদক ও ইসলামি লেখক ফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মুফতি এনায়েতুল্লাহ, ঢাকামেইলের বার্তা সম্পাদক ও ইসলামি লেখক ফোরামের সাবেক সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর, আওয়ার ইসলাম টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুব, দৈনিক খবরের কাগজের ইসলাম বিভাগীয় প্রধান মিরাজ রহমান, লেখক সাংবাদিক মাসউদুল কাদির প্রমুখ।
২০২৩ সালে প্রকাশিত ফোরাম সদস্যদের পাঠানো প্রায় পঞ্চাশ বইয়ের ওপর মূল্যায়ন করে সেরা ১০ জনকে গ্রন্থ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ৩ জনকে দেওয়া হয় মিডিয়ায় সেরা প্রতিবেদন তৈরির জন্য ফিচার সম্মাননা।
এ বছর ফোরামের প্রতিবেদন সম্মাননা পেয়েছেন আরও দুইজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, আব্দুল্লাহ তামিম, সময় টিভিতে তার গবেষণাধর্মী ফিচার ‘মধ্যপ্রাচ্যে দেখা যায় বিশ্বের বড় বড় গ্রন্থাগার।’ কাউসার লাবীব, আওয়ার ইসলামে ‘মাদ্রাসা সংকটে পড়লে সমাধানের দায়িত্ব কার?’
ইসলামি সাহিত্যচর্চায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরামের আয়োজনে ১০ জন লেখক তাদের অনন্য ইসলামি সাহিত্যকর্মের জন্য বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হন। মাসউদুল কাদির, তার বই অনুপম সাহাবা দিয়ে শিশুসাহিত্যে অবদান রাখায় সম্মাননা লাভ করেন। মিরাজ রহমান, দ্য গ্রেটেস্ট অন্ট্রাপ্রেনর মুহাম্মাদ (সা.) বইয়ের মাধ্যমে মোটিভেশনাল সাহিত্যে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। জুবায়ের রশীদ, সাহাবিদের জ্ঞানচর্চার ইতিহাস বইয়ের জন্য ইতিহাস-জীবনী বিভাগে সম্মাননা অর্জন করেন। মুফতি শরিফুল ইসলাম নাঈম, বিশ্ববিখ্যাত ১০০ আলেম বইয়ের জন্য ইতিহাস-জীবনী বিভাগে পুরস্কৃত হন। সায়ীদ উসমান, দ্য টাইগার অব ফিলিস্তিন বইয়ের মাধ্যমে গল্প-উপন্যাসের জগতে বিশেষ অবদান রাখেন। আবদুল্লাহ আশরাফ, ঝিলামের রাজকন্যা গল্প-উপন্যাসের জন্য পুরস্কৃত হন। আবদুল্লাহ আল মুনীর, শরিয়তনামা বইয়ের জন্য গল্প-উপন্যাস বিভাগে সম্মানিত হন। মামুনুর রশীদ নদভি, সীরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বইয়ের মাধ্যমে অনুবাদ বিভাগে বিশেষ অবদান রাখেন। আবু নাঈম ফয়জুল্লাহ, মুহতামিমের রোজনামচা বইয়ের জন্য প্রবন্ধ-আলোচনা বিভাগে সম্মানিত হন। মিযানুর রহমান জামীল, শিউলি ফোটার দিনে বইয়ের মাধ্যমে ছড়া-কবিতা বিভাগে প্রশংসিত হন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আয়োজিত জুলাই বিপ্লবের স্বরচিত কবিতা পাঠ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন মাহফুজ ইকরাম, দ্বিতীয় হয়েছেন আনিস আরমান, তৃতীয় হয়েছেন নাঈমুর রহমান, চতুর্থ হয়েছেন মাহমুদ হাসান এবং পঞ্চম হয়েছেন আহমাদ যুবায়ের খান।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম ইসলামি ধারার তরুণ লেখকদের জাতীয় সংগঠন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কর্মরত এবং সারাদেশে ছড়ানো লেখকদের নিয়ে ২০১৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এই সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে সারাদেশের প্রায় পাঁচশ লেখক এই সংগঠনের সদস্য।