মা দিবসে কবি নূরুল হুদার ‘যে ঋণ’
আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে নিজের মা-কে নিয়ে কবিতা লিখেছেন কবি মোহাম্মদ নূরুল হুদা। ‘যে ঋণ’ শিরোনামে কবিতায় মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে এ কবি মা-কে বিশ্বভুবনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
রোববার (৯ মে) দুপুর ১২টায় কবি নূরুল হুদা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কবিতার প্রথমভাগে লিখেছেন- ‘কে বলে মা নেই? মা আছে আমার ভিতর, আমি আছি মায়ের ভিতর। মা আমার এই বিশ্বভুবন, এই বিশ্বভুবন আমার মায়ের ভবন।’
বিজ্ঞাপন
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বাঙালি ‘জাতিসত্তার কবি’ হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৯৪৯ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম হাজী মোহাম্মদ সেকান্দর সওদাগর। মায়ের নাম আঞ্জুমান আরা বেগম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও পরের বছর মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।
কর্মজীবনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তালশহর কলেজ ও রাজধানী ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ইংরেজি বিভাগে শিক্ষাকতা করেন। এছাড়া বাংলা একাডেমির পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা কবিতার পাশাপাশি লিখেছেন গদ্য, করেছেন অনুবাদ, লিখেছেন চিকিৎসা শাস্ত্র (হোমিওপ্যাথিক) নিয়ে। বাংলাভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতেও লিখেছেন তিনি। বাংলা কবিতায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ১৯৮৮ সালে তাকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১৫ সালে একুশে পদক দেওয়া হয়। এছাড়াও তিনি বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
পাঠকদের জন্য কবি নূরুল হুদার লেখা পুরো কবিতাটি তুলে ধরা হলো-
যে ঋণ
মুহাম্মদ নূরুল হুদা
কে বলে মা নেই?
মা আছে আমার ভিতর,
আমি আছি মায়ের ভিতর।
মা আমার এই বিশ্বভুবন,
এই বিশ্বভুবন আমার মায়ের ভবন।
মাটির চাদর গায়ে
মা আছেন আপন
আদর জুড়ে।
আমি তাকে দেখি ঘুরে ঘুরে।
মা শুধু হাসে
আর ভালোবাসে।
মা, দিন আসে দিন।
প্রতিদিন আমার দিন;
প্রতিদিন তোমার দিন;
তুমি আমাতে বিলীন,
আমি তোমাতে বিলীন।
প্রতিদিন আমাদের দিন।
ঋণী আমি ঋণী;
যে ঋণ করি না শোধ
আমি কোনোদিনই।
আরএম/এফআর