জীবনের গল্প নিয়ে আখতার জাহানের ‘অভেদ্য চক্র’
অক্ষরের সাথে অক্ষর জোড়া দিয়ে হয় সুন্দর সুন্দর শব্দ। আর শব্দের সাথে শব্দ জোড়া দিয়ে হয় সুন্দর বাক্য। যা অনুভূতি প্রকাশের অসাধারণ মাধ্যম। যার মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্ক মজবুত হয়, এমনকি সম্পর্ক ভেঙেও যায়। জীবনের দেখা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা আখতার জাহানের প্রথম গল্পের বই ‘অভেদ্য চক্র’।
সরকারি চাকরিজীবী বাবা মো. আমানত উল্লাহ ও গৃহিণী মাহমুদা বেগমের সন্তান আখতার জাহান বিথী জন্মগ্রহণ করেন রংপুরে। বর্তমানে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন উচ্চপদে। পাশাপাশি কাজ করছেন পুষ্টিবিদ হিসেবেও।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় একটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে। বিভাগের অনার্স প্রথম ব্যাচের ছাত্রী হিসেবে সফলতার সাথে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন।
কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতার সঙ্গে জড়িত আখতার জাহান। এছাড়াও সমাজের নানান বিষয় নিয়ে লেখালেখি করছেন। বই হিসেবে প্রথম এটি।
ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের গর্বিত জননী ঘোরাঘুরি করতে অত্যন্ত পছন্দ করেন। পছন্দ করেন নতুন মানুষের সাথে মিশতে। মানুষের জীবনযাপন অবলোকন করতে থাকা আর অনুভূতিগুলোকে উপলব্ধি করার অনুপ্রেরণা থেকেই লেখালেখিকে আপন করে নেওয়া। ছোট থেকেই লেখা আর এখনো লেখার চেষ্টা করে যাওয়া।
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই চারপাশের মানুষ গুলোকে পর্যবেক্ষণ করা আমার অন্যতম প্রিয় কাজ। ঘোরাঘুরি করতে অত্যন্ত ভালো লাগে আর সেই ভালো লাগাটা জন্মসূত্রে বাবার থেকে পাওয়া। ছোট বেলা থেকে ঘুরতে গেলেও মুগ্ধ চোখে যেমন প্রকৃতি আর বিভিন্ন এলাকার সৌন্দর্য দেখেছি, তেমনি অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করেছি-মানুষকে। দেখেছি নানারকম মানুষ।
‘সুখের সংজ্ঞা কিংবা অনুভূতি কি আমি জানি না কিন্তু নিজের ভালো লাগাকে কেন্দ্রীভুত করে নিজের একান্ত সময়গুলোকে অনুভব করতে আমার খুব ভালো লাগে।’
বইমেলায় প্রকাশিত বইটি বাজারে এনেছে বইপুস্তক প্রকাশন। বইমেলার ৫৭১ নাম্বার স্টলে পাওয়া যাবে বইটি।
এসআই/এমএ