বইমেলায় মোশতাক আহমেদের ভৌতিক উপন্যাস ‘মৃত্যুবাড়ি’
বইমেলায় পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠেছে কথাসাহিত্যিক মোশতাক আহমেদের ১৮তম ভৌতিক উপন্যাস ‘মৃত্যুবাড়ি’। অনিন্দ্য প্রকাশের স্টলে প্রতিদিনই বইটি কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন নানা শ্রেণিপেশার পাঠক। তার লেখা পুরোনো ভৌতিক উপন্যাসগুলোর পাঠক চাহিদায়ও রয়েছে।
মোশতাক আহমেদ ২০ বছর ধরে লেখালেখি করছেন। ২০০৪ সালে তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয় জকি, বইমেলায় বিক্রি হয় মাত্র এক কপি। বর্তমানে তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক ও বিক্রি হয় হাজার হাজার কপি। বাংলা সাহিত্যে পথ চলার পথে অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে আজ তিনি অবস্থান করে নিয়েছেন পাঠক হৃদয়ে। ভূষিত হয়েছেন বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, কালি ও কলম, চ্যানেল আই সিটি আনন্দ আলো পুরস্কারসহ আরও অনেক সাহিত্য পুরস্কারে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, মৃত্যুবাড়ি তার ১৮তম ভৌতিক উপন্যাস। গত ২০ বছরের লেখালেখির জীবনে প্রতি বছর তিনি একটি করে ভৌতিক উপন্যাস রচনা করেন। প্রথম বছর আর মাঝে আরেক বছর তিনি ভৌতিক উপন্যাস লেখেননি।
কেন ভৌতিক উপন্যাস লিখেন– এমন প্রশ্নের জবাবে মোশতাক আহমেদ বলেন, ভৌতিক উপন্যাস আমার লেখার ইচ্ছে ছিল না। প্রথম বই যখন আমার বিক্রি হয়নি কিন্তু খুব লিখতে ইচ্ছে করছিল তখন মজা করে প্রথম ভৌতিক উপন্যাস ‘অতৃপ্ত আত্মা’ লিখি। ওই উপন্যাস পড়ার পর এক নারী পাঠক বইমেলায় বলেছিলেন, আপনার ভৌতিক উপন্যাসটি ভালো ছিল এবং বেশি বেশি লিখবেন, কারণ ভয়সম্বলিত জমজমাট ভৌতিক উপন্যাস পাওয়া যায় না। তারপর থেকে প্রতি বছর আমি ভৌতিক উপন্যাস লিখি। সুবিধা হচ্ছে, ভৌতিক উপন্যাস লেখা খুব সহজ এবং পাঠকের সংখ্যাও অনেক বেশি। বিশেষ করে নারী পাঠকরা ভৌতিক উপন্যাস পছন্দ করেন বেশি।
‘মৃত্যুবাড়ি’ ব্যতীত এখন পর্যন্ত মোশতাক আহমেদের রচিত অন্য ভৌতিক উপন্যাসগুলো হলো– ছায়াআত্মা, ছায়ামৃত্যু, মৃত্যুপ্রাসাদ, রক্তনেশা, রক্তাসাধনা, প্রতিশোধের আত্মা, ইলু পিশাচ, অশুভ আত্মা, আত্মা, কালা পিশাচ, অভিশপ্ত আত্মা, উলূ পিশাচের আত্মা, শয়তান সাধক চিলিকের আত্মা, রক্তপিপাসা, রক্ততৃষ্ঞা, প্রেতাত্মা, অতৃপ্ত আত্মা। মোশতাক আহমেদের ভৌতিক উপন্যাস এতটাই জনপ্রিয় যে ইতোমধ্যে আত্মা সমগ্র এবং সেরা পাঁচ ভৌতিক উপন্যাস নামে দুটি সংকলনও বের হয়েছে।
এবারের মেলায় প্রকাশ হওয়া চারটি নতুন বইসহ মোশতাক আহমেদের সব ভৌতিক উপন্যাস পাওয়া যাচ্ছে অনিন্দ্য প্রকাশের স্টলে।
এসএসএইচ