লেখালেখির মজাটা আমি ঠিক কোন বয়স থেকে পেতে শুরু করেছি, জানি না। খুব সম্ভবত ক্লাস থ্রি-ফোর হবে। তখন তো এখনকার মতো মোবাইলের নোটপ্যাডে ঢুকে মনের কথা লিখে ফেলা যেত না যখন-তখন। খুব একান্তে নিজের সময় বের করে লুকিয়ে লুকিয়ে ডায়েরিতে লিখে রাখতে হতো। সেই ডায়েরিও আবার লুকিয়ে রাখতাম কোনো এক গোপন জায়গায়, যেন কোনোভাবেই তা দেখে না ফেলে কেউ, সেই ভয়ে। অথচ এখন হয়েছে একেবারেই উল্টো। মনের যেকোনো কথা লেখার পরই এখন সঙ্গে সঙ্গে তা জানিয়ে দিতে ইচ্ছে করে সবাইকে। নিজের অনুভূতিগুলো ছড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে সবার মাঝে। আর অবাক হয়ে যাই যখন দেখি, আমার লেখা ভাবনাগুলো অন্য কারো মনকেও ছুঁয়ে যাচ্ছে বা কোনো পাঠক বলছে– এ যেন তার নিজেরই মনের কথা!

মিথ্যা বলব না, ভীষণ ভালো লাগে আমার তখন যখন কেউ এভাবে বলে। আর লেখার প্রতি ভালোবাসাটাও এভাবে গভীর হতে থাকে তখন।

নিজের লেখা নিয়ে এভাবেই বলছিলেন লেখক মেহেরুন নাহার মেঘলা। পাঠকদের উৎসাহ আর নিজের ইচ্ছার সম্মেলনে আসছে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মেঘকাব্য’, যা প্রকাশ পেতে যাচ্ছে এবারের একুশে বইমেলায় ‘আজব প্রকাশ’ থেকে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মো. সাদিতউজজামান। বইমেলায় আজব প্রকাশনী থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন পাঠকরা, স্টল নং ৩৯২-৩৯৩।

জীবনের গভীর উপলব্ধিগুলো নিয়ে লিখতে ভালোবাসেন কবি। তার সহজ সাবলীল ভাষার উপস্থাপন সহজেই মন কাড়তে বাধ্য করে পাঠকদের। শুধু ছন্দের সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে গৎবাঁধা লেখা নয়, তার প্রতিটা লেখায় থাকে জীবনের ছোট-বড় কোনো না কোনো দ্বন্দ্ব আবার কখনো তার সমাধানও। জীবনকে ইতিবাচক রূপে দেখতে ভালোবাসেন তিনি। তিনি মনে করেন, জীবনের প্রতিটা ধাপ ও প্রতিটি মুহূর্তই সুন্দর।

৮৮ পাতার বইয়ে মোট ৮৩টি কবিতা থাকছে তার এ কাব্যগ্রন্থ ‘মেঘকাব্য’তে; যার প্রতিটা পাতা উল্টে মুগ্ধ হতে এবং ভাবতে বাধ্য হবেন পাঠকরা– এমনটাই বিশ্বাস করেন বইটির প্রকাশক ‘জয় শাহরিয়ার’।

এসএসএইচ