সাতচল্লিশে এপার থেকে ওপারে কত শত মানুষ নিজের শেকড় ছিন্ন করে সদ্য বানানো শূন্যরেখা পেরিয়ে চলে গেছেন। আবার ওপার থেকেও লাখ লাখ মানুষ সীমানা পেরিয়ে চলে এসেছেন। এই যাওয়া-আসার নেপথ্যে লুকিয়ে আছে অজস্র করুণ গল্প। 

সম্ভাবনাময় তরুণ কথাসাহিত্যিক মাহতাব হোসেন এমন একটি মর্মান্তিক গল্প বলেছেন তার নতুন উপন্যাস সাতচল্লিশের ট্রেনে। 

মাহতাব হোসেন ইতিহাস থেকে বলেছেন, ‘ব্রিটিশ ভারতের বিহারের কাটিহার থেকে পার্বতীপুর ১৮৮৩ সালে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় এই রেলপথ পূর্ব থেকেই বহুল পরিচিত। ফলে সাতচল্লিশের রায়টে ভারত ত্যাগের জন্য বিহারের মুসলিমরা কাটিহার থেকে ট্রেনে উঠে নিকটবর্তী তৎকালীন সদ্য জন্ম নেওয়া পাকিস্তানের পার্বতীপুর হয়ে সৈয়দপুর ও আশপাশের জেলায় আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন।’

লেখক নিজের বই প্রসঙ্গে জানান, ‘সাতচল্লিশের দাঙ্গা আক্রান্ত একটি পরিবার মধ্যরাতের ট্রেনে উঠে পড়ে, সেই পরিবারের বেঁচে থাকা নারী বহু বছর পরে ফিরতে চান তার জন্মভূমিতে। ঘটনাচক্রে এগিয়ে আসে ঢাকায় বসবাসকারী এক যুবক। উপন্যাসের কাহিনি নানাদিকে বাঁক নিয়েছে। আধুনিকতার মোড়কে এক খণ্ড সাতচল্লিশের দগদগে ঘা দেখা যায়, যা আমাদের নতুন চিন্তার জায়গা তৈরি করে দেবে।’

১১২ পৃষ্ঠার সাতচল্লিশের ট্রেন উপন্যাসটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার অনিন্দ্য প্রকাশের ১০ নম্বর প্যাভিলিয়নে। মূল্য  ২২৫ টাকা। এ ছাড়াও রকমারি ডটকম, বইফেরী ডটকমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফরমে উপন্যাসটি পাওয়া যাচ্ছে।