ব্যারিস্টার তুষারের ‘দ্য রোহিঙ্গা : আ লং হিস্ট্রি অব জেনোসাইড’
ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষারের লেখা গবেষণামূলক বই ‘দ্য রোহিঙ্গা: আ লং হিস্ট্রি অব জেনোসাইড’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে কারুবাক প্রকাশনী। বইটির ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান সমাজ বিশ্লেষক, সাহিত্য সমালোচক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
শনিবার অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণে এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। কারুবাক প্রকাশনীর ২০২ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে বইটি।
বিজ্ঞাপন
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। কিন্তু কেন এই গণগত্যা হয়েছিল? রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার কী ছিল? কোনও দিন কী এই গণহত্যার বিচার হবে? রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার কী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) কোনও দিন করতে পারবে? জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কী রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার নিশ্চিতে কোন পদক্ষেপ নিবে? বাংলাদেশ কি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে নিজের বিপদ ডেকে এনেছে? দক্ষিণ এশিয়ায় রোহিঙ্গা সমস্যা কেন দিন দিন প্রকট হবে? বাংলাদেশ কী বেরিয়ে আসতে পারবে রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে? এই গণহত্যার পেছনে ছিল এক ভয়ানক ভূরাজনীতির নীলনকশা।
অজানা এসব তথ্য নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে বইটি। এটি একটি গবেষণাধর্মী ডকুমেন্টস। বইটিতে তুলে আনা হয়েছে অনেক বাস্তব পরিস্থিতি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের রিফিউজি নিয়ে গবেষণা করেন এমন গবেষক, ছাত্র, রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, বিচারকদের কাছে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ের গবেষক আলতাফ পারভেজ, এএফপির ব্যুরো চীফ শফিকুল আলম, মানবাধিকার কর্মী ও শরণার্থী বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর, ব্যারিস্টার মো. কাউছার, এডভোকেট হাসানুজ্জামান বিপ্লব, কারুবাক প্রকাশনীর প্রকাশক গোলাম কিবরিয়া, কুতুপালং রিফিউজি ক্যাম্পের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান, রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ তাহেরসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তারা। এজন্য জাতিসংঘকে দায়িত্ব পালনের দাবি জানানো হয়। মিয়ানমার যেন অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয় সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা। একইসঙ্গে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
এইচআর/এমজে