বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে নিঃশর্তে স্টল বরাদ্দ দেওয়ার দাবি
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত একুশের চেতনাবহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছে গণসংহতি আন্দোলন। তাই এবারের বইমেলায় অবিলম্বে আদর্শ প্রকাশনীকে নিঃশর্তভাবে স্টল বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলের পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, সংস্কৃতির কোনো বিষয়ে কারো মতপ্রকাশের প্রশ্নে কিংবা কোনো চিন্তার অবস্থানে আমরা একমত নাও হতে পারি। কিন্তু তার প্রকাশের বিরুদ্ধচারণ আমরা করতে পারি না। তা একুশের চেতনা পরিপন্থি। আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি খালি চোখে ভিন্নমত দমনেরই উদাহরণ।
সরকার আদর্শ প্রকাশনীর বইকে দেশব্যাপী নিষিদ্ধ করেনি। অথচ তাদের তিনটি বইয়ের (বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে, উন্নয়ন বিভ্রম ও অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা) নামকে উল্লেখ করে বাংলা অ্যাকাডেমি তাদেরকে নিঃশর্ত স্টল বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করছে। তাহলে কি আদর্শের এই ‘বই প্রত্যাহার কেবল বইমেলায়ই মাত্র’। সারাদেশের পাঠক তো অন্য সব জায়গায় বইগুলো পড়তে পারবে। এটা কেমন করে হতে পারে; এটা তো অযৌক্তিক। প্রশ্ন ওঠানো দরকার—‘বাংলা অ্যাকাডেমি কি তাহলে স্বাধীনভাবে কাজ করছে না?
বাংলা অ্যাকাডেমির মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠান একুশের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে আদর্শকে বইমেলা থেকে কার্যত বঞ্চিত করছে। এই আদর্শ প্রকাশনী গত ১০-১২ বছর ধরে বইমেলায় যথাযথ নিয়ম মেনে অংশগ্রহণ করে আসছে এবং তারা তাদের প্রাতিষ্ঠানিকতা নিয়ে প্রকাশনা জগতে ভূমিকাও রেখে চলছে। সেইসঙ্গে এই প্রতিষ্ঠান এই সময়কালে দেশের সংস্কৃতিবিরোধী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বইও প্রকাশ করেনি।
বিবৃতিতে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, অবিলম্বে সব সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আদর্শ প্রকাশনীকে বইমেলায় শর্তহীনভাবে স্টল বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এমএইচএন/কেএ