জাতীয় কবিতা উৎসব ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের ৩৫তম জাতীয় কবিতা উৎসব। এ বছর কবিতা উৎসবের মর্মবাণী-‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা’।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কবিতা উৎসব দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় কবিতা পরিষদ।
বিজ্ঞাপন
পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উৎসবের আহ্বায়ক কবি শিহাব সরকার, কবি ও প্রাবন্ধিক আমিনুর রহমান সুলতান, কবি আসলাম সানি, কবি কাজল বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে তারিক সুজাত বলেন, দু’দিনব্যাপী উৎসবে কবিতা পাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আমরা এবারের স্লোগানকে মূর্ত করে তুলব। বরাবরের মতো এবারও উৎসবের আঙিনা নির্ধারণ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ।
উৎসবে ভারত, নেপাল ও মালদ্বীপসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কবিরা অংশ নেবেন বলেও জানান তিনি।
তারিক সুজাত বলেন, বাংলাদেশের কবিরা চিরকালই প্রগতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিগত প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার সংগ্রামী কবিরা এই উৎসবে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। এই উৎসবকে আমরা কবিতার মিলনমেলায় পরিণত করতে পেরেছি।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আমাদের এবারের স্লোগান ‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা’। আমরা মনে করি বাংলার যে স্বাধীনতা, সেটা একটা কবিতা। কারণ কবিদের কবিতা, যেমন- জীবনানন্দ দাশ, নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের গান-কবিতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় কী ভূমিকা পালন করেছে, আপনারা তা জানেন।
এইচআর/এমজে