বাঙালির ইতিহাস আবেগের। এ আবেগ যেমন মানুষে মানুষে, তেমনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতিরও বটে। দিনক্ষণ গুণে গুণে বসন্ত বরণের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। ফাগুনের মাতাল হাওয়া দোলা দিয়েছে বাংলার নিসর্গ প্রকৃতিতে। ফুলেল বসন্ত, মধুময় বসন্ত, যৌবনের উদ্দামতা বয়ে আনার বসন্ত আর আনন্দ এ যেন উচ্ছ্বাস ও উদ্বেলতায় মনঃপ্রাণ কেড়ে নেয়ার সময়। এখন থেকেই যেন ফাল্গুনের ভ্রমরদের গুনগুনানি শুরু হয়ে গেছে। ফুল ফোটার অপেক্ষায় আছে তারা। মুখে নতুন মধু আর গায়ে হলদে রেণু দিয়ে মাখবে বলে। ফাগুনের আগুন যে মনে ধরছে তা প্রকৃতির চিত্রপটেই বোঝা যাচ্ছে। গাছে গাছে সবুজের সমারোহ। ডালে ডালে ফাল্গুনের প্রাণ-বন্যা। অথচ আমি বলতে এসেছি আরেক ফাল্গুনের সম্পাদকীয় বইয়ের কথা। ফাল্গুনের পলাশের রক্তস্তুপ যেখানে জমে রয়েছে লেখার লাইনে লাইনে, সেখানে আমার এই কথাগুলো রিলিফ মাত্র। বইটি পড়ার পর দেখবেন আপনার পুরো পৃথিবীর মানেই যেন কেমন পাল্টে গেছে। যা কিছু এতদিন ভেবে এসেছেন জটিল, দুরূহ, বহুমাত্রিক ও ব্যাখ্যাতীত তা হয়ে যাবে সহজ, সরল, বোধগম্য ও ব্যাখ্যাযোগ্য। যে উত্তরগুলো আপনি ভেবেছিলেন আপনার জানা, পড়ার পর আপনি আচমকা টের পাবেন, প্রশ্নগুলোই আপনার আদতে জানা ছিল না! বইটির নাম ‘সম্পাদকের টেবিল’। লিখেছেন স্বদেশ রায়।    

সম্পাদকীয় নিবন্ধের কয়েকটি গুণ থাকা অত্যাবশ্যক। যেমন, ডাইরেকটনেস, ক্ল্যারিটি, সিমপ্লিসিটি ইত্যাদি। এগুলো না থাকলে লেখা হয় গতানুগতিক, তার ফলে লেখার গুণ কমে যায় এবং বক্তব্য অস্পষ্ট থেকে যায়। মাঝে মাঝে সম্পাদকীয় হয়ে যায় একটা বিশেষ নিউজ আইটেমের প্যারাফ্রেজের মতো। সম্পাদকীয় লেখার ব্যাপারে আমরা প্রথম বুঝি বিষয় নির্বাচন। তারপর সাধারণত সম্পাদক এবং সহকারী সম্পাদকরা নির্বাচিত বিষয়টি কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা উচিত এবং এ ব্যাপারে কী কী লেখা যাবে তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। তারপর তারা সম্পাদকীয় লিখতে বসেন। লেখক যখন লিখতে বসেন, তখন তাঁর লেখাটি হয় মৌলিক। রচনাশৈলীও থাকে তার নিজস্ব ভঙ্গির। ‘সারাক্ষণ ডট কমে’ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল সম্পাদকীয়কে আলাদাভাবে। বাংলাদেশে কোনো অনলাইন পোর্টালে এই প্রথম সম্পাদক নিজে প্রতিদিনই সম্পাদকীয় স্তম্ভগুলো লিখতেন। প্রতিদিন দুপুর ১২টা ১ মিনিটে সম্পাদকীয় প্রকাশ হতো। সম্পাদকীয় এমন হওয়া উচিত নয় যা পাঠকের বোধগম্য হবে না। ছোটবেলায় শুনেছি কলকাতার স্টেটসম্যান পত্রিকা পড়লে ইংরেজি ভাষা শেখা যায়। ঠিক তেমনি ‘সম্পাদকের টেবিল’ বইটি পড়লে সহজে বাংলা ভাষা শেখা যাবে বললে অত্যুক্তি হবে না। তাছাড়া সম্পাদকীয় কীভাবে সর্বজনীন হয়ে ওঠে তাও জানা যাবে।

সন্তান জন্মের পূর্ব পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সন্তানের বেড়ে ওঠা, সমাজের পারিপার্শ্বিক অবস্থা, সামাজিক আন্দোলন, অর্থনৈতিক দীনতা থেকে উন্নয়ন, রাজনীতির বিভিন্ন রূপ, কোভিডের শুরু থেকে ভ্যাকসিন, নারীর ক্ষমতায়ন, বিজ্ঞান- প্রযুক্তি, সাহিত্য- শিল্পকলা-চলচ্চিত্র, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে মৌলবাদীদের আঘাত থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, সবই লেখক তুলে এনেছেন তার বইতে।

লেখক লিখেছেন,‘সভ্যতার শুরুটাই হয়েছিল নারীর শ্রমের ওপর ভর করে। মানুষ থিতুও হয়েছে নারীর হাতে সৃষ্ট কৃষিকাজ শুরু হওয়ার পর থেকে। তারপর একপর্যায়ে এসে সেই সৃষ্টিশীল নারীকে বন্দী করে পুরুষ সংসারের চার দেয়ালে। নারী এখনো শুধু পরিবারে নয়, সবখানেই বেশি শ্রম দেয় আর সব থেকে বেশি অবম‚ল্যায়িত হয় তার শ্রম। আমরা বর্তমানে যে অর্থনীতি নিয়ে গর্ব করছি, তার বড় অংশ আসছে তো নারীর শ্রম শোষণ করে।’ বর্তমানে সমাজে যে অবক্ষয়, এই শক্তিশালী সামাজিক শক্তি ছাড়া দ‚র করা সম্ভব নয়। আবার সমাজের বর্তমানের এই অবক্ষয়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারীসমাজ, এসব বিষয়ও তিনি তুলে ধরেছেন তার বইতে।

আমাদের দেশে বর্তমানে ভোজ্য তেলের বাজার অসহনীয়। লিটারে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ থেকে ১৮০ টাকায়। তেলের দাম যে বেড়েছে তা কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নয়। যদিও যুদ্ধের প্রভাবে সবকিছুর দাম বেড়েছে, তবে তেলের দাম বাড়ছে গত দেড় বছর ধরে। ২৬ অক্টোবর ২০২০ সালেই স্বদেশ রায় তার সম্পাদকীয়তে লিখেছেন বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়লেও বাংলাদেশ কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে তা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারবে। তিনি লিখেছেন, ‘অবিলম্বে আমদানির জন্য বাড়তি অর্ডার দেয়া যাতে বর্তমানে (২৬ অক্টোবর ২০২০ - সয়াবিন লিটার প্রতি ১০০ থেকে ১০৫ টাকা) যে মূল্য আছে, এই মূল্যে আগামী একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাম অয়েল আমদানি করে রাখা যায়। কীভাবে বেশি জমিতে সরিষা বা অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী শস্যদানা উৎপাদন করা যায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া ধানের কুঁড়া থেকে যাতে আরো বেশি পরিমাণে ভোজ্য-তেল উৎপাদন করা সম্ভব হয়, সে জন্য নতুন মিল মালিক শ্রেণি তৈরি করা যেতে পারে।’ 

কোভিডের পরে এবং যুদ্ধের কারণে সবকিছুর দাম বাড়ছে। আর এই ধাক্কা লাগছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে। তাই খুব কম সুদে একটা দীর্ঘমেয়াদী ঋণ রাষ্ট্রের কাছ থেকে তারা পেতে পারেন। এ বিষয়ে লেখক লিখেছেন, ‘বড় বড় ঋণ খেলাপির ঋণের কিস্তি শোধের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হচ্ছে; তাদের সুদ মাফ করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি যখন কোভিড-১৯ আসেনি, তখন তাদের ২ পার্সেন্ট সুদে ঋণ পুর: তফসিল করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। সেখানে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত- এই সৎ সাধারণ মানুষের হক অনেক বেশি। তাছাড়া ঋণ-খেলাপিরা যে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়েছে, তার সবই তো এই মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তের টাকা। তাই কোভিডের এই দুর্দিনে রাষ্ট্র মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের জন্য এ সুবিধা চালু করতেই পারে।’ 

এত সমস্যার মধ্যে মধ্যবিত্ত যে তার দুঃখ ভোলার জন্য বিনোদন উপভোগ করবে তার কোন উপায় নেই। কারণ বিনোদনের প্রধান মাধ্যম যে চলচ্চিত্র তা নিয়ে কোনো সুসংবাদ নেই। অথচ বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্ট পর্যন্ত যেতে হচ্ছে। কিন্তু চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য কোন পদক্ষেপ নেই। এ বিষয়ে লেখক লিখেছেন, ‘আমাদের সিনেমা শিল্প এখন জমিদারদের ছেড়ে যাওয়া পোড়ো বাড়ির মতো হয়েছে। এর অতীত আছে, কোনো বর্তমান নেই। যে কারণে দেশ ও মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে সিনেমা থেকে। মানুষের জীবনে একটি সিনেমা যে প্রভাব রাখতে পারে, যে পরিবর্তন আনতে পারে, তা আমাদের এখানে ঘটছে না।’ 

স্বাধীনতার অর্ধশত বার্ষিকী ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী পালন করছি আমরা। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এখন ক্ষমতায়। দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ধর্মীয় মৌলবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এর ভয়ংকর রূপ দেখেছি জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙার মধ্য দিয়ে। এ বিষয়ে স্বদেশ রায় বইতে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে ইসলাম আসার অনেক আগেই এসেছে ইরানে। আর সেখানে ইসলামিক স্কলাররাও পৃথিবী স্বীকৃত স্কলার। সেখানে আমাদের দেশে এই সব স্বঘোষিত স্কলাররা কোন অনুশাসনের বলে বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখে মুখোশের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেন? কোন অনুশাসনের বলে তারা জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাঙেন? আর আমাদের সরকারও কেন এদের কাছে নতজানু হয়? কারণ, ধর্মীয় অনুশাসনে নিষেধ থাকলে ধর্মীয় রাষ্ট্র ইরানে সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে এমনভাবে স্মরণ করা হতো না।’ 

এই পাকিস্তানি প্রেতাত্মা তথা মৌলবাদী শক্তি যখন ছোবল মারার জন্য ফণা তুলছে তখন বড়ই প্রয়োজন ছিল এইচ টি ইমামের মতো আজীবন মুক্তিযোদ্ধার। ২০০১-এ অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় এবং ১/১১-এ শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও তিনি নির্ভয়ে কাজ চালিয়ে গেছেন। কখনোই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির হুমকিকে ভয় পাননি। কিন্তু তিনি চিরবিদায় নিয়েছেন ৪ মার্চ, ২০২১। লেখক লিখেছেন, ‘তাঁর এ চিরবিদায় শুধু তাঁর পরিবারের ক্ষতি বা তার সরকার ও দলের ক্ষতি নয়; বাংলাদেশের ক্ষতি। তাঁর মরদেহকে গান স্যালুট দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। কিন্তু তাঁর থেকেও সত্য হলো, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাঙালি সন্তানরা তাদের এমন কৃতী সন্তানকে সব সময়ই স্মরণ করবে এবং জানাবে তাদের হৃদয়ের স্যালুট।’

বইয়ের প্রতিটি লেখার মতো লেখকের জীবনও বৈচিত্র্যময়। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পর দুঃসহ ক্রান্তিকাল প্রতিরোধে প্রতিবাদে-সংগ্রামে দ্রোহের বন্ধুর পথে হেঁটেছিলেন ১৯৬১ সালের ৫ জুন খুলনায় জন্ম নেয়া স্বদেশ রায়। খুনিদের হটানোর সশস্ত্র আন্দোলনে সহায়তার পথ ধরে যোগ দেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। এজন্য পাইকগাছা, খুলনা, বাগেরহাটের শিক্ষা জীবনকালে তাঁর ওপর জারি হয় হুলিয়া। এরপর স্বদেশ রায় চলে আসেন ঢাকায় আর ১৯৮৩ সালে এরশাদের স্বৈর শাসনামলে নিজের ভেতরকার দ্রোহের উচ্চারণের অস্ত্র হিসেবে বেছে নেন কলমকে। পরিণত হন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রক্ষা তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মুক্ত স্বদেশ গড়বার বলিষ্ঠ, সত্যনিষ্ঠ, সাহসী সাংবাদিকে। শুরুতে সে সময়কার জনপ্রিয় ‘সাপ্তাহিক সাংবাদিক’ ও ‘সচিত্র সন্ধানী’তে কিছুদিন রিপোর্টার হিসেবে কাজ করলেও স্বদেশ রায়ের তীক্ষ্ম কলমের প্রকৃত ধীশক্তি ফুটে ওঠে যায়যায় দিনে। আলোড়িত-আলোচিত সাপ্তাহিক কাগজটিতে তার জনপ্রিয় সংবাদ-প্রতিবেদন, কলাম এবং সম্পাদকীয় নিবন্ধগুলো সে সময় ভিত কাঁপিয়ে দেয় স্বৈরাচার ও তাদের দোসর স্বার্থান্বেষী মুক্তবুদ্ধি-বিরোধী বিভিন্ন মহলের। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিকে কলাম লিখছেন তিনি। বিদেশের ১৫ টিরও বেশি সাপ্তাহিক ও দৈনিকে নিয়মিত তাঁর কলাম ছাপা হচ্ছে। তাঁর বিভিন্ন কলাম ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভ‚টান, মালদ্বীপের বিভিন্ন পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। গালফ নিউজ,দ্য হাফিংটন পোস্টসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম স্বদেশ রায়ের কলামের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশ করেছে। লেখক কবি ও সাংবাদিক স্বদেশ রায় দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় দাপটের সঙ্গে সাংবাদিকতার নানান ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছেন। চলচ্চিত্রও তৈরি হয়েছে তাঁর রিপোর্টকে ভিত্তি করে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, কবিতা লিখছেন দীর্ঘদিন ধরে। যে সংখ্যক উপন্যাস, গল্প, কবিতা ও শিশুতোষ সাহিত্য তিনি সৃষ্টি করেছেন তাতে নিঃসন্দেহে কবি বা লেখক হিসেবে তাঁর পরিচিতি এগিয়ে থাকতে পারতো। কিন্তু তাঁর সাহসী সাংবাদিকতা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। তবে সব কিছুকে ছাড়িয়ে তাঁর কলামই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সাংবাদিকতায় তিনি যেমন পেয়েছেন পাঠকপ্রিয়তা তেমনি রাষ্ট্রও তাকে সম্মানিত করেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদকে ‘একুশে পদকে’ ভ‚ষিত করে।

৪০০ পাতার ‘সম্পাদকের টেবিল’ বইটিতে রয়েছে ১৯৫ টি বিশেষ বিশেষ লেখা। প্রতিটি লেখার সঙ্গে রয়েছে ইলাস্ট্রেশন। এবারের বইমেলায় বইটি প্রকাশ করেছে জিনিয়াস পাবলিকেশন্স। প্রচ্ছদ করেছেন আইয়ুব আল আমিন। বইমেলায় ২০ নম্বর প্যাভিলিয়নে জিনিয়াস পাবলিকেশন্সে বইটি পাওয়া যাবে। এছাড়া অনলাইন পরিবেশক হিসেবে রয়েছে রকমারি ডট কম। বইয়ের প্রতিটি লেখা মানুষের চিন্তার দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়ার পাশাপাশি প্রগতির পথ দেখাবে। লেখাগুলো সম্পাদকীয় হলেও এখনো প্রাসঙ্গিকই নয় বরং চিরকালের মনোজগতের সম্পদ।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
mdibrahimnoman@yahoo.com