চুলের যত্নে পাকা পেঁপে
পাকা পেঁপে খেতে সুস্বাদু, এটি বেশ পুষ্টিকর এসব তথ্য তো জেনেছেন। এমনকী এই পেঁপে দিয়ে ত্বকের যত্ন করা যায়, তাও জেনেছেন। এবার বলুন, পাঁকা পেঁপে দিয়ে যে চুলের যত্ন নেওয়া যায়, সেকথা জানতেন? চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্চর্য এক উপাদান হলো এই পাকা পেঁপে। জেনে নিন চুলের যত্নে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই ফলের উপকারিতা-
চুল পড়া কমায়
বিজ্ঞাপন
চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে থাকলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা হবেই। কারণ নির্ভরযোগ্য সমাধান খুঁজে না পেলে মুশকিল। চুল পড়ার পর যদি সেখানে নতুন চুল না গজায় তবে চুল পাতলা হতে শুরু করবে। বাজারে অনেককিছুই কিনতে পাবেন, যেগুলো চুল পড়া ঠেকাতে বা নতুন চুল গজাতে কার্যকরী বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সেসব যে আশানুরূপ নয়, সেকথাও সবার জানা। এর বদলে ঘরোয়া উপায় অনেক বেশি ভালো। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে পাকা পেঁপে।
তিন টেবিল চামচ পাকা পেঁপের পেস্ট, এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ নারিকেলের দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর প্যাকটি চুলে ভালো করে লাগিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেকের জন্য। এরপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। এভাবে নিয়ম করে যত্ন নিলে চুল পড়ার সমস্যা কমবে, গজাবে নতুন চুল।
খুশকি দূর করে
খুশকির সমস্যায় ভুগছেন এমন কারও জন্য পেঁপের বীজ হতে পারে কার্যকরী। একটি ছোট পাকা পেঁপের অর্ধেকটা বীজসহ পেস্ট করে নিন। এবার সেই পেস্ট স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। এভাবে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। এরপর চুলে শ্যাম্পু করে নিন। পেঁপের বীজে থাকে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এই উপাদান স্ক্যাল্পের ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করে। এর ফলে খুশকি দূর হয় সহজেই।
হেয়ার কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহারপাকা পেঁপেতে থাকে মিনারেল, ভিটামিন এবং এনজাইম। নিয়মিত পাকা পেঁপে খেলে দূর হয় শরীরের নানা ঘাটতি। এই পেঁপে কিন্তু আপনার চুলের ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে। পাকা পেঁপে পেস্ট করে নিয়ে তার সঙ্গে নারিকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর কন্ডিশনার হিসেবে এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন। প্যাকটি ব্যবহারের পর অবশ্যই শ্যাম্পু করতে হবে।
চুল কোমল করে
কয়েক টুকরো পাকা পেঁপে থেঁতো করে নিতে হবে। এরপর সেই থেঁতো করা পেঁপের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি স্ক্যাল্পে, চুলের গোড়ায় এবং চুলের ডগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন। এভাবে এক ঘণ্টা রেখে চুলে শ্যাম্পু করে নিন। এতে চুল কোমল হবে, উজ্জ্বলতাও বাড়বে।