বিশ্বাস করুন বা না করুন, আপনার প্রতিটি ছোট অভ্যাস বা কাজ আপনার কর্মদক্ষতার মাত্রাকে অনেক উপায়ে প্রভাবিত করে। এখন যেহেতু অনেকে হোম অফিস করছেন, সেক্ষেত্রে উচ্চ স্তরের কর্মদক্ষতার বজায় রাখা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তবে কর্মীরা তাদের বাড়ির আরামদায়ক পরিবেশে কাজ করার সময় কাজের উত্পাদনশীলতা বাড়াতে পারে। এখানে কিছু অভ্যাস রয়েছে যেগুলো করলে আপনার কর্মদক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

অবসর সময়ে অফিসের কাজ নয়

কর্মীদের সবচেয়ে বড় ভুলগুলোর মধ্যে একটি হলো, তাদের অবসর সময়ে অফিসিয়াল ইমেইলের উত্তর দেওয়া। এটি তাদের ছুটির সময় উপভোগ করাকেও কঠিন করে তোলে। যে কারণে বেশিরভাগ সময় তারা অবসর পেলেও বিরক্ত থাকে এবং মেজাজ ক্ষুণ্ন হয়ে থাকে।

কাজের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করুন

আপনার কাজের সময়ের মধ্যে প্রতি এক ঘণ্টা পরপর কমপক্ষে ৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। এটি আপনার মনকে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করার জন্য যথেষ্ট পরিষ্কার করবে। হাঁটার অভ্যাস আপনার মস্তিষ্ককে সমস্ত কাজের বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্তি দেবে। যদি এই হাঁটার অভ্যাসকে আপনার কাজের সময়ের মধ্যে সামান্য বিরতি হিসাবে বিবেচনা করেন, তবে অনেক কাজ দ্রুত এবং ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন।

সবকিছু সংগঠিত করুন

এটি সব কাজ অনেক সহজ করে তোলে। এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো আপনার কাজের বিবরণ ইনপুট করার সময় আপনার কাজের সময়সূচী সংগঠিত করে। আগের রাতে আপনার সময়সূচী প্রস্তুত করে রাখুন। এতে আপনার সময় বাঁচবে এবং কাজের ট্র্যাকে থাকতে পারবেন।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন

ঘুম মানসিকভাবে সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকার জন্য এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেকথা জানেন নিশ্চয়ই? আপনার শরীর এবং মনকে জেগে থাকার জন্য জোর করবেন না। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন। প্রতি রাতে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস করুন। একবার আপনি একটি স্বাস্থ্যকর ঘুমের চক্র ধরে ফেললে, কত দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারেন তার পার্থক্য দেখতে পাবেন।

শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য একটি সময় ঠিক করুন

গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য কিছুটা সময় আলাদা করে রাখলে আপনি একটি একক কাজে তীব্রভাবে ফোকাস করতে পারবেন। ধরুন আপনি দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সমাধান করার জন্য বিকেল ৪টা থেকে ৫টা ঠিক করেছেন। এসময় আপনি অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে বা অন্য কোনো কাজ করতে পারবেন না। এটি আপনার কর্মদক্ষতার জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করবে।