সুন্দর ও পরিপাটি হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য মেকআপ করে থাকেন অনেক নারী। সঠিকভাবে মেকআপ করতে জানলে দেখতে সুন্দর লাগে, সন্দেহ নেই। সুন্দরভাবে মেকআপ করতে জানাও এক ধরনের আর্ট। আপনিও বেশ যত্ন নিয়ে মেকআপ করলেন, কিন্তু সেই মেকআপ খুব বেশি সময় স্থায়ী হলো না। তখন কিন্তু দেখতে খারাপ লাগবে। তাই মেকআপ করার আগে সেটি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় জেনে নিতে হবে-

টোনার ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার

ত্বক পরিষ্কার করে এক্সফোলিয়েট করুন। এরপর ব্যবহার করুন টোনার। এতে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল দেখাবে। এরপর ব্যবহার করুন ময়েশ্চারাইজার। ত্বকে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা ধরে রাখতে এটি করতে হবে। আপনার ত্বকের ধরনের ওপর ভিত্তি করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। সেটি তেলমুক্ত হওয়া জরুরি।

প্রাইমার

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। এই পর্যায়ে ব্যবহার করুন প্রাইমার। এটি ত্বকের টোনকে সমান করবে এবং দেখতে মসৃণ মনে হবে। মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রাইমার হলো মূল উপকরণ। এটি ব্যবহারের কারণে মেকআপ দেখতে উজ্জ্বল লাগবে, সেইসঙ্গে থাকবেও দীর্ঘ সময়। ময়েশ্চারাইজারের মতো প্রাইমারও তেলমুক্ত হতে হবে।

ফাউন্ডেশন

আপনার ত্বকের ধরন বুঝে বাছতে হবে ফাউন্ডেশন। এটি প্রাইমারের সঙ্গেও মানানসই হতে হবে। ওয়াটার বেসড প্রাইমার হলে ফাউন্ডেশনও ওয়াটার বেসড হতে হবে। এর উল্টোটা হলে কিন্তু মেকআপ ভালোভাবে সেট হবে না। ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে হালকা প্রলেপে। এটি আপনার ত্বকে মসৃণ টেক্সচার দেবে মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করবে।

ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার ও মাসকারা

মাসকারা ও আইলাইনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। এই দুটি ভালো মানের না হলে তা আপনার সাজকে নষ্ট করে দেবে। যদি ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার ও মাসকারা ব্যবহার করেন তবে তা দীর্ঘ সময় টিকে থাকবে। আইলাইনার ও মাসকারা ব্যবহার করার পর আই ক্রিম প্রয়োগ করবেন না।

ভালো কমপ্যাক্ট পাউডার

কমপ্যাক্ট পাউডার ভালো হলে তা মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করে। এতে ত্বক দেখতে সুন্দর লাগে। ত্বকের ধরন ও টেক্সচার বুঝে নির্বাচন করতে হবে কনসিলারের শেড। সামান্য পাউডার দিলে হালকা হাতে সেট করে নিতে হবে। 

এবং সেটিং স্প্রে

সেটিং স্প্রে ব্যবহার করলে তা মেকআপ দীর্ঘ সময় ধরে রাখবে। তাই মেকআপের শেষে এসে সেটিং স্প্রে প্রয়োগ করতে ভুলবেন না। এটি মেকআপের চূড়ান্ত ধাপ। ত্বক উজ্জ্বল দেখাতে এবং মেকআপ দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে মেকআপের শেষে এসে ব্যবহার করুন সেটিং স্প্রে।