বিয়ে একটি চমৎকার বিষয়। কিন্তু এটি শুধু হেসে-খেলে কাটিয়ে দেওয়ার মতো নয়। বিয়ের সঙ্গে অনেক ভারী দায়িত্বও চলে আসে। সম্পর্কের পবিত্রতা রক্ষা করা খুব একটা সহজ নয়, যদি না উভয় পক্ষই এতে ইচ্ছুক হয়। অনেক সময় এই অনিচ্ছা এবং নির্লজ্জতা কুৎসিতভাবে বিবাহবিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে বিবাহবিচ্ছেদের হার অনেক বেশি হয়ে গেছে এবং এর জন্য বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। জেনে নিন কোন কারণে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটতে পারে-

অসঙ্গতি

দুজনের মধ্যে যদি মিলের থেকে অমিল বেশি থাকে, দুজনের কথা ও কাজের মধ্যে অনেক বেশি পার্থক্য ধরা পড়তে থাকে তবে সেগুলো বিবাহবিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যেতে পারে। দুজনের আলাদা মূল্যবোধ, যৌন জীবনে সমস্যা, ধর্মীয় পার্থক্য ইত্যাদি ভাঙনের কারণ হতে পারে। পরস্পরের স্বাধীনতা খর্ব করাও বিচ্ছেদের একটি বড় কারণ।

ভুল বোঝাবুঝি

বেশিরভাগ মারামারি, তর্ক এবং বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ হলো ভুল বোঝাবুঝি। সন্দেহ করা এবং অনুমাননির্ভর বিষয়গুলো এই সমস্যার কারণ হতে পারে। পারিবারিক সমস্যা এবং আর্থিক বিষয়গুলো খোলামেলা আলোচনা না করা হলে তা বিবাহবিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই একে অপরকে বুঝতে হলে খোলাখুলি কথা বলুন।

বিশ্বাসঘাতকতা

কোনো সম্পর্কেই অবিশ্বস্ত হওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। দাম্পত্য সম্পর্কে এমনটা ঘটলে আপনি অন্যের কাছ থেকে বোঝার আশা করতে পারেন না। আপনাদের বিয়ের সম্পর্কটি যদি প্রতারণা, মিথ্যাচার বা লুকোচুরি দিয়ে শুরু হয় তবে সেটি ধীরে ধীরে ভাঙনের দিকে আগাতে পারে। যদি বিয়ের সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে চান তবে পরস্পরের প্রতি সৎ থাকুন। 

আসক্তি

অ্যালকোহল, ড্রাগ বা অন্য কোনো খারাপ আসক্তি বেশিরভাগ সময় বিবাহবিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এই ধরনের আসক্তিগুলো মেজাজের পরিবর্তন আনে; আচরণ, ঘুমের ধরন, ক্ষুধা পারিবারিক দায়িত্ব, বন্ধু এবং সংযোগ নষ্ট করে। সেইসঙ্গে অর্থের অপচয় এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসকে প্রভাবিত করে।

গার্হস্থ্য নির্যাতন

এটি একটি বড় কারণ যা বিবাহবিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যেতে পারে। শুধু নারীরা নয় পুরুষরাও এর শিকার হতে পারে এবং এটি অসহনীয় একটি অপরাধ। তাই সঙ্গীকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন থেকে বিরত থাকুন।

পারিবারিক কারণ

বিয়ে মানে শুধু স্বামী-স্ত্রী নয়। যদি পরিবার বা সঙ্গী আপনার জীবনযাপনে হস্তক্ষেপ করে, আপনি কীভাবে আপনার সন্তানকে লালন-পালন করেন এবং অন্যান্য পারিবারিক বিষয়ে বাধ্যবাধকতা ধরিয়ে দেয়, তাহলে সেগুলো কুৎসিত হতে থাকে এবং একটা সময় ভুক্তভোগী সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়।