ওজন কমাতে চাইলে যে ৫ ভুল করবেন না
ওজন কমানো সংক্রান্ত নানা ধরনের তথ্য আপনি একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। কিন্তু সবকিছু বিশ্বাস করতে যাবেন না যেন! নেটে পাওয়া সব তথ্যই যে সঠিক, তা কিন্তু নয়। বরং ভুলভাল তথ্য ছড়ানোর আশঙ্কা থাকেই। শুধু খাবার কমানো আর শরীরচর্চা দিয়ে বাড়তি মেদ ঝরানো সম্ভব নয়। সবকিছু সঠিকভাবে মেনে চললে তবেই পাবেন কাঙ্ক্ষিত ফল। জেনে নিন, ওজন কমাতে চাইলে কোন ৫ ভুল করা যাবে না-
কম বা অতিরিক্ত শরীরচর্চা
বিজ্ঞাপন
অনেকের ধারণা হলো যত বেশি শরীরচর্চা করা যাবে, ততই ওজন কমবে। আপনিও যদি তাদের একজন হন, তবে এই অভ্যাস বাদ দিন। সবকিছুরই একটি পরিমাপ আছে। অতিরিক্ত কোনোকিছুই সুফল আনে না। শরীরচর্চার ক্ষেত্রেও এটি সত্যি। আপনি যদি অতিরিক্ত শরীরচর্চা করেন তা অন্তঃস্রাবী হরমোনের ক্ষতি করতে পারে। এই হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের সব কার্যকারিতা। আবার আপনি যদি শরীরচর্চার পরিমাণ কমিয়ে কেবল ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে থাকেন, তাতে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়বেন। তাই ওজন কমাতে চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সেই অনুযায়ী মেনে চলুন। এতে ওজন কমবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে।
কম চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া
অনেকের ধারণা হলো ফ্যাট বা চর্বিযুক্ত খাবার যত কম খাওয়া যায়, ওজন ততই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এটি ঠিক নয়। তারা চর্বি এড়াতে গিয়ে এমন সব খাবার বেছে নেন যেগুলো নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এবং অত্যাধিক চিনিযুক্ত। যে কারণে সেগুলো খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই আবার ক্ষুধার্ত বোধ করে। ফলে বারবার খাওয়া হয় এবং ওজন বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় প্রক্রিয়াজাত খাবার সবার আগে বাদ দিতে হবে। খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। এতে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকবে এবং ক্ষুধাও কম লাগবে।
কম বা অতিরিক্ত ক্যালোরি
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ক্যালোরি গ্রহণ এবং তা ঝরানোর প্রতি মনোযোগী হতে হবে। উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলে তা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আবার একেবারে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে থাকলে তা আপনাকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দেবে। তাই উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার পরিমিত খেতে হবে। এটিই আপনার জন্য হবে উপকারী।
ওজন ক্রমাগত হ্রাস
অনেকে মনে করেন, ওজন কমানো মানে ক্রমাগত কমতেই থাকা। কিন্তু সব সময় যে এমন হবে, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় ওজন স্থির হতে পারে। বিশেষ করে নারীর পিরিয়ডের সময় এটি হতে পারে। এসময় নারীর শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। আবার নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে তরলের ওঠানামা, ফোলাভাব এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা ওজন নির্ধারণ করে থাকে। অনেক সময় ওজন স্থির থাকলেও মেদ ঝরে যেতে পারে। তাই হতাশ হবেন না। আসলেই মেদ কমেছে কি না তা একটি ফিতার সাহায্যে মেপে দেখতে পারেন।
কম প্রোটিন খাওয়া
ডায়েট করতে গিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেবেন না। প্রোটিন কম গ্রহণ করলে তা আপনাকে ক্লান্ত করে তুলবে এবং ওজন কমলেও তা আবার বাড়তে শুরু করবে। তাই খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখুন। এতে ওজন বাড়বে না এবং মেটাবলিজম ভালো হবে। ফলে ওজন কমানো সহজ হবে। এছাড়াও তালিকায় রাখতে হবে প্রচুর ফাইবারযুক্ত খাবার। এটি আপনাকে সহজে ক্লান্ত হতে দেবে না। সাহায্য করবে ওজন কমাতেও।