মাছ খেতে চায় না?
মাছ ভীষণ উপকারী একটি খাবার। মাছ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার হয়। কিন্তু এই মাছ খেতেই অনেকের অনীহা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে শিশুরা। এর বড় কারণ হলো মাছের কাঁটা। কাঁটা বাছাবাছির ভয়ে অনেকে মাছ খেতে চান না। আবার মাছের গন্ধ, স্বাদও এক্ষেত্রে দায়ী হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
আপনি যদি প্রতিদিনই একইভাবে রান্না করে থাকেন তবে সেই রান্না বিস্বাদ হতে সময় নেবে না। আমাদের রসনা চায় স্বাদের বৈচিত্র। শিশুকে কোনো খাবারের প্রতি আকৃষ্ট করতে হলে সেই খাবারে চমক আনতে হবে। শিশু যদি ছোট মাছ খেতে না চায় তবে সেই পুষ্টি তার শরীরে পৌঁছানোর জন্য করতে পারেন অন্য কোনো কৌশল। ধরুন, কাচকি মাছ দিয়েই তৈরি করে দিলেন পাকোড়া। খুব সহজ রেসিপিতে তৈরি করা যায় এটি। এমন লোভনীয় খাবার পেলে কে আর না করবে বলুন!
কাচকি মাছের উপকারিতা
উপকারী মাছ কাচকিতে আছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন এ। এসব উপাদান আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি। এই মাছে আরও আছে সফরাস, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৩ এবং ভিটামিন ডি। এগুলো শিশুর মেধা ও শারীরিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত কাচকি মাছ খেলে উচ্চ রক্তচাপ, রাতকানা রোগ, হাড়ের ক্ষয় রোগ ইত্যাদি দূরে থাকে।
তৈরি করতে যা লাগবে
কাচকি মাছ- ১ কাপ
রসুন বাটা- ১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
বেসন- ১/২ কাপ
পেঁয়াজ কুচি- ২ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ কুচি- ২ চা চামচ
ধনেপাতা কুচি- ১ টেবিল চামচ
আলু (ঝুরি করে কেটে রাখা)- ১/২ কাপ
লবণ- স্বাদ অনুযায়ী
ডিম- ১টি
গোল মরিচের গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
কর্ন ফ্লাওয়ার- ১/২ কাপ
তেল- ভাজার জন্য।
তৈরি করবেন যেভাবে
প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্রে পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচ কুচি, চিকন করে কেটে নেয়া আলু, জিরা গুঁড়া, গোল মরিচের গুঁড়া ও লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার বেসন, কর্ন ফ্লাওয়ার, ডিম ও রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে।
কাচকি মাছ অসবার শেষে মেশাতে নিতে হবে। অন্যদিকে তেল গরম করে নিন। ডুবো তেলে পাকোড়া ভেজে নিন। বাড়তি তেল ঝরানোর জন্য কিচেন টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন। এই পাকোড়া এমনিতে খাওয়া যায় আবার গরম ভাতের সঙ্গেও পরিবেশন করা যায়।
এইচএন