প্রতিদিন বেদানা খাবেন যে ৪ কারণে
টসটসে রসে ভরা ফল বেদানা। এর দানার রং নজরকাড়া। দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমনই সুস্বাদু এই ফল। এতে আছে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-টিউমার উপাদান। আরও আছে ভিটামিন এ,সি,ই, ফাইবার এবং ফলিক অ্যাসিড। আপনি যদি নিয়মিত বেদানা খান তবে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো মরণরোগও থাকবে দূরে।
খাবারের তালিকায় প্রতিদিন একটি বেদানা রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আপনি যদি প্রতিদিন একটি বেদানা বা এর রস খান তবে উপকার পাবেন নানাভাবে। যখন আপনি কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যান, সঙ্গে নিশ্চয়ই বেদানাও নিয়ে যান? এর কারণ কিন্তু বেদানা আমাদের দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন একটি বেদানা খেলে কী হয়-
বিজ্ঞাপন
টক্সিন দূর হয়
নানা কারণে আমাদের শরীরে টক্সিন জমে যেতে পারে। সেসব দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের না হলে নানা অসুখের ভয় থাকে। বেদানায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরে জমে থাকা দূষিত সব পদার্থকে বের করে দিতে কাজ করে। তাই মারাত্মক সব অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় কমে, সেইসঙ্গে সতেজ থাকে ত্বকও। ফলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।
রক্তে অক্সিজনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়
আপনি যদি নিয়মিত বেদানা খান তাহলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আপনার মস্তিষ্ক এবং হৃদযন্ত্র ভালো থাকবে, বাড়বে কার্যকারিতা। সেইসঙ্গে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। এতে আপনি সুস্থ থাকবেন, ক্লান্তি দূর হবে। নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ থাকবে দূরে।
স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে
একজন দক্ষ ও কর্মক্ষম মানুষ হিসেবে আপনার স্মৃতিশক্তি ভালো রাখা জরুরি। কিন্তু নানা কারণে কমতে পারে আমাদের মনে রাখার ক্ষমতা। জার্নাল অব এগ্রিকালচার ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিদিন এক গ্লাস করে বেদানার রস খেলে বাড়ে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা। আপনি যদি প্রতিদিন একটি বেদানা বা এর রস খেয়ে থাকেন তবে স্মৃতিশক্তির উন্নতি তো ঘটবেই, সেইসঙ্গে ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমার্সের মতো অসুখের ভয়ও কমবে।
নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এখন প্রায় প্রতি ঘরেই দেখা দিচ্ছে। এর প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করতে পারে বেদানা। আপনি যদি নিয়মিত বেদানা কিংবা এর রস খান তবে শরীরে পিউনিসিস অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এর ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ। সেইসঙ্গে কমে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা। যে কারণে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।