সারাক্ষণ খেতে ইচ্ছা করলে যা করবেন
খাওয়ার বিষয়ে সবার রুচি একই রকম নয়। কারও খাবার খেতে খুব একটা ভালোলাগে না, নিতান্তই খেতে হয় বলে খেয়ে নেন। কারও আবার খেতে খুবই ভালোলাগে। তাদের মন সারাক্ষণ খাই খাই করতে থাকে। একটি খাবার খাওয়া শেষ হলে আবার কী খাওয়া যায় সেই চিন্তা করতে থাকেন। বাড়িতে খাওয়ার মতো কোনো খাবার না থাকলে মন খারাপ করেন।
আপনি কি সারাক্ষণ খাই খাই করা মানুষের তালিকায়? সবকিছুর মতো খাবারেও নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। কারণ প্রয়োজের অতিরিক্ত খাবার খেলে তা নানাভাবে আপনাকে অসুখে ফেলবেই। ওজন বেড়ে যাবে, নষ্ট হবে শরীরের ভেতরের স্বাভাবিক ছন্দ। এদিকে আপনি চেষ্টা করেও খাওয়ার অভ্যাস কমাতে পারছেন না? জেনে নিন সমাধান-
বিজ্ঞাপন
প্রোটিন খান
ওবেসিটি জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ থেকে জানা গেছে যে, আপনি যদি প্রতিদিনের খাবারের খাবারের মোট ক্যালোরির ২৫ শতাংশ প্রোটিন থেকে গ্রহণ করেন তবে এটাসেটা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায় প্রায় ৬০ শতাংশ। তাই প্রতিদিনের খাবারে অন্তত ২৫ শতাংশ প্রোটিন রাখুন। এটি আপনাকে বারবার ক্ষুধার হাত থেকে বাঁচাবে।
ক্ষুধা চেপে রাখবেন না
হরমোন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের যখন খুব বেশি ক্ষুধা লাগে তখন ফাস্টফুড বা প্রসেসড ফুডের মতো খাবারের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায়। তাই কখনোই ক্ষুধা চেপে রাখবেন না। যখনই ক্ষুধা পাবে স্বাস্থ্যকর কোনো খাবার খেয়ে নেবেন। হতে পারে তা ফল, শুকনো ফল বা সালাদ।
চুইংগাম
আপনি যদি চুইংগাম মুখে রাখার অভ্যাস করেন তবে সেটি আপনাকে মিষ্টি ও নোনতা খাবারের আসক্তি থেকে দূরে রাখবে। এমনটাই জানাচ্ছে গবেষণা। তবে সেই চুইংগাম হতে হবে সুগার ফ্রি। নয়তো উল্টো ক্যালোরি বেড়ে গিয়ে বিপদে পড়বেন। শরীরে পানির ঘাটতি হলেও খাই খাই ভাব বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। দিনে অন্তত তিন লিটার পানি পান করুন।
ভালো ঘুম প্রয়োজন
ঘুম কম হলে বেড়ে যেতে পারে মিষ্টি খাবারের প্রতি আসক্তি। তাই প্রতি রাতে ভালো ঘুমের অভ্যাস করুন। ঘুম কম হলে ঘুমের জন্য সহায়ক খাবারগুলো খাবেন। শোয়ার ঘরের পরিবেশও ঘুমের উপযোগী রাখবেন। কখনো কম ঘুমের কারণে ক্লান্ত বোধ করলে চিনি ছাড়া কফি পান করতে পারেন।
মানসিক চাপমুক্ত থাকুন
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, মানসিক চাপ বেড়ে গেলে গ্লুকোজসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার আসক্তি বেড়ে যায়। তবে এই আসক্তির স্থায়িত্ব হতে পারে কয়েক মিনিট। এই সময়টা কাজ করে বা আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দিতে পারলে বিপদ পেরোনো যায়। সেইসঙ্গে মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।