শীতে ক্লান্তি কাটাতে কী খাবেন?
শীত এলে তার সঙ্গে করে আসে বাড়তি আলস্য। বিছানার উষ্ণতা ছেড়ে উঠতে মন চায় না, প্রতিদিনের কাজগুলো করতেও লাগে চরম আলসেমি। একটু সুযোগ পেলেই ঘুমাতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু এসবকিছুর জন্য কি শুধু শীতই দায়ী? আমাদের মনে হতে পারে এই অলসতা কিংবা ক্লান্তিভাবের জন্য বুঝি শুধু শীতই দায়ী। কিন্তু সব সময় তা না-ও হতে পারে।
একটুতেই ক্লান্তি, কোনো কাজ করতে ইচ্ছা না হওয়া, যখন-তখন ঘুম পাওয়া এসব হতে পারে অন্য কারণেও। হতে পারে যে আপনার শরীর সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে না। প্রতিদিন যেসব খাবার খাচ্ছেন তাতে থাকছে না পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেল। এর ফলেই আসতে পারে ক্লান্তি। তাই এসময় খাবারে আনতে হবে পরিবর্তন। জেনে নিন শীতের সময়ে ক্লান্তি কাটাতে কী খাবেন-
বিজ্ঞাপন
মাছ খাবেন যে কারণে
শীতের সময়ে আপনার ক্লান্তি কাটিয়ে প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে মাছ। শুধু সামুদ্রিক মাছই নয়, যেকোনো মাছেই পাবেন প্রচুর আয়রন। তাই মাছ খেলে পূরণ হবে আয়রনের ঘাটতি। এতে আপনি আরও বেশি সতেজ বোধ করবেন। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যেকোনো প্রকার মাছ রাখুন।
মুরগির মাংসও উপকারী
শীতের সময়ে মুরগির মাংস হতে পারে আরেকটি উপকারী খাবার। কারণ এই মাংসে পাবেন প্রচুর হেম আয়রন। এটি আমাদের শরীর দ্রুত হজম করতে পারে। শীতের সময়ে মুরগির মাংসের স্যুপ, স্ট্যু, রোস্ট, কারি, কাবাব ইত্যাদি নানা ধরনের পদ তৈরি করে খেতে পারেন। পাশাপাশি মুরগির মাংসের ছালাদও উপকারী।
শীতে শাক-সবজি খান বেশি বেশি
শীত হলো শাক-সবজির মৌসুম। রং-বেরঙের শাক-সবজি শীতের অন্যতম সৌন্দর্য। সেসব শাক-সবজি পুষ্টিগুণেও অনন্য। এসময় ক্লান্তি কাটাতে আপনাকে সাহায্য করবে সেসব শাক-সবজি। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখুন সেসব। পালং শাক খেলে তা আপনাকে দ্রুত শক্তি জোগাবে। এছাড়া গাজর, মটরশুঁটি, মূলা, শালগম ইত্যাদি সবজিও খেতে পারেন। ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, টমেটো, শিম, বরবটি ইত্যাদিও রাখুন পাতে। এগুলো শীতেও আপনাকে অলসতার কাছে কাবু হতে দেবে না।
ফল খাবেন নিয়মিত
শীত যে শুধু সবজির মৌসুম তা কিন্তু নয়। এসময় নানা ধরনের ফলও পাওয়া যায়। শীতের ক্লান্তি কাটাতে আরেকটি সাহায্যকারী খাবার হতে পারে নানা ধরনের ফল। এসময় কমলা খাবেন। কারণ কমলায় মিলবে প্রচুর ভিটামিন সি। এছাড়া শুকনো ফল যেমন বাদাম, আখরোট, কিশমিশ ইত্যাদিও খেতে পারেন। এতে শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরে পাবেন। এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করবেন, পর্যাপ্ত পানি পান করবেন। সেইসঙ্গে নজর রাখবেন ঘুমের দিকেও।